বিএনপির দুই গুণ ভোট চুরি আর মানুষ খুন: শেখ হাসিনা

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৩৯ | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিএনপির দুটি গুন আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির দুটি গুন আছে। একটা হলো ভোট চুরি আর অন্যটি হলো মানুষ খুন।

প্রায় ১১ বছর পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের এই জনসভায় রবিবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে ভাষণ শুরু করেন শেখ হাসিনা। বিকাল তিনটা ১৫ মিনিটের দিকে মঞ্চে আসন নেন তিনি।

এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জনসভা। মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

মঞ্চে আসন নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর আগে সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সেনাবাহিনীর নবীন ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতে প্রায় ৩৪ বছর আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় পুলিশের গুলির ঘটনা স্মরণ করেন। বলেন, ‘এরশাদের সময়ে ওই গুলির ঘটনায় দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাকে খালেদা জিয়া রেহাই দিয়েছিলেন। তার মানে হয়ত ওই গুলির ঘটনায় খালেদা জিয়াও জড়িত ছিল।’

লালদিঘীর ওই ঘটনায় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হচ্ছিলো, তখন ১০-১২ আইনজীবী তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি পুলিশকে উদ্দেশ করে মাইকে বলেছিলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলছি, আপনারা গুলি চালাবেন না।’ তবে শেখ হাসিনার এই আহ্বান উপেক্ষা করে ওইদিন পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। তাদের গুলিতে ২৪ জন নিহত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল বলে তারা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। খালেদা বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। দেড় মাসেরও কম সময়ে তারা পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। ২০১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছে বিএনপি। এর জবাবও একদিন দিতে হবে।’

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান জনসভা সঞ্চালনা করছেন।

জনসভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থি ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/জেএ/ডিএম)