তাকসিমকে ওয়াসার এমডি নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে রিট করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে রবিবার এ রিট দায়ের করেন তিনি।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে গত ১৩ বছর ধরে তিনি ওয়াসার এমডি হিসেবে আছেন। তার সময়ে পানির দাম ইউনিট প্রতি ৬ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। এতকিছু স্বত্বেও বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। তার দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত হচ্ছে, দুদকেও অনুসন্ধান হচ্ছে বলে আমি যতটুকু জানি।

তিনি আরও বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে, জাল জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ওয়াসার এমডি পদের জন্য ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার থাকলেও তার সেটা ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, পরে বারবার সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অভিযোগগুলো সত্য হলে তার নিয়োগপত্রের তদন্ত হওয়া দরকার।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তার নিয়োগপত্রে লেখা রয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানে বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এজন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।

তিনি বলেন, জন্মই যার অবৈধ হয়, পরে তার কর্মতে লুটপাট হবে, পানির দাম বাড়বে, ওয়াসার বাজে অবস্থা হবে, পানির মধ্যে ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাবে- এটাই স্বাভাবিক। এ ধরনের অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে যে নিয়োগ জনস্বার্থে সেটা বন্ধ করতে হবে। আজ রিটটি ফাইল করেছি। তার বেতন তো আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির বেতনের থেকে বেশি। তিনি নাকি আমেরিকায় বসে অফিস করেন।

সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্টে বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাতাইমস/০৪ডিসেম্বর/এসএন/ইএস)