শেরপুর সীমান্তে ‘জাদুরকলের’ পানিতে চলছে চার গ্রাম

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২০

আব্বাস উদ্দিন, শেরপুর

শেরপুরের সীমান্ত এলাকাজুড়ে পাহাড় থাকায় সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানির সংকট লেগে থাকে প্রায় সারা বছর। গভীর নলকূপ স্থাপন কিংবা কুয়া খনন করেও যেখানে পানি পাওয়া কঠিন। সেখানে শ্রীবরর্দী উপজেলার সীমান্তঘেষা কয়েকটি গ্রামের ভাগ্যবান কিছু মানুষ অল্প টাকা খরচ করে কোন প্রকার জ্বালানি ছাড়াই অনবরত পাচ্ছেন সুপেয় পানি। নিত্যদিনের সাংসারিক কাজ এমনকি কৃষি কাজেও ব্যবহার করা হয় এই পানি। বিনা খরচে উত্তোলিত এই পানি সংরক্ষণ করে কৃষি কাজে ব্যবহারের দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির। গত প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দিনরাত অনবরত পড়ছে ‘জাদুরকল’ বা অটোকলের পানি।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী এই তিনটি উপজেলার প্রায় ২০ কি.মি সীমান্ত এলাকাজুড়ে সারা বছর পানি সংকট থাকলেও শ্রীবরদী উপজেলার রাঙ্গাজান, বালিঝুড়ি, খ্রিষ্টানপাড়া ও অফিসপাড়া এই চারটি গ্রামে পানির সংকট দূর করেছে এই অটোকল বা জাদুরকল। খাওয়ার পানি থেকে শুরু করে গৃহস্থালির সকল কাজে এই পানি ব্যবহার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, অনবরত মাটির নিচ থেকে বের হওয়া এই পানি চাষাবাদের কাজেও লাগাচ্ছেন কৃষকরা।

কেবলমাত্র দুই ইঞ্চি পাইপ দিয়ে প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট ফুট গর্ত করে ওই গর্তে পাঁচ থেকে ছয় ফুটের ছোট একটি পাইপ বসিয়ে দিলেই সেখান থেকে অনবরত বের হয় সুপেয় পানি। স্থানীয়রা এই প্রবাহমান স্রোতধারার নাম দিয়েছেন ‘অটোকল বা জাদুরকল’। তবে জায়গা ভেদে অটোকলগুলোর পানির চাপ কমবেশি হয়ে থাকে।

রাণীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সোহাগ জানান, এই সব পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত সুপেয় পানির সংকট লেগে আছে। তবে কয়েকটি গ্রামের প্রায় অর্ধশত বাড়িতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা পানির স্রোতধারা থাকাতে এই গ্রামগুলোতে সুপেয় পানির অভাব কিছুটা লাঘব হয়েছে। তবে এই পানির আর্সেনিক পরীক্ষা এবং সরকারিভাবে বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তোলন ও সংরক্ষণ করে কাজে লাগানোর দাবি করেন এই চেয়ারম্যান।

এছাড়া সীমান্তের এই গ্রামগুলোতে প্রায় অর্ধশত অটোকল রয়েছে। যা দিয়ে কৃষকরা প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে বিনা খরচে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/এলএ/এসএ)