চিলমারীতে গুদামে ধান-চাল দিতে আগ্রহ নেই মিলারদের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৩৩

চলতি আমন মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারি খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়নি। খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি পাওয়ায় এসব মিলাররা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেননি। যার ফলে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। ওই মাসের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত উপজেলার ৪৩ জন মিলার চাল সংগ্রহ অভিযানে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা থাকলেও একজন মিলারও চুক্তি করেনি। যার ফলে চলতি মৌসুমে সরকারি ভাবে আমন ধান ও চাল ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা ও চাল ৪২ টাকা দরে ৪৪৮ মে.টন ধান ও ৪৮৭ মে.টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

মিল চাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহান আলী জানান, সরকারি দরের চেয়ে বাজারে এখন মোটা ধান প্রতি কেজি ২৮/৩৪ টাকা, আর মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি গুদামে চাল দিলে এবার বেশি লোকসান গুনতে হবে। তার ওপর সরকারকে ২% হারে আয়কর দিতে হবে। তাই লাইসেন্স বাতিল হলেও চুক্তি করবো না। তবে সরকার যদি বিষয়টি বিবেচনা করে মুল্য পুনঃনির্ধারণ করে তাহলে তিনি চুক্তি করবেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবার ৮ হাজার ৬০ হেক্টরে আমন চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। ফলে বাজারে ধান চালের সংকট হবে না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের মূল্য ১১৩০ থেকে ১৩৫০ টাকা। ধান ক্রয় করে চাল তৈরি ও মিটার পাসের জন্য চাল শুকানো ও গুদাম পর্যন্ত চাল পরিবহন ও মোট বিলের ওপর মিলাদের ২ শতাংশ উৎসে কর ধার্য করায় মিলাররা চাল দিতে আগ্রহী নন।

(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :