ওবায়দুল কাদেরের জেলায় শুধু সভাপতি ঘোষণা, সাধারণ সম্পাদক কই?

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জেলায় আওয়ামী লীগের কান্ডারী তথা সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের কথা। তবে সভাপতি পেলেও সাধারণ সম্পাদক পায়নি নোয়াখালী আওয়ামী লীগ।

ক্ষমতাসীন দলটির এতদিন হয়ে আসা আর সব জেলা কমিটির সম্মেলনের পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম একত্রে ঘোষণা হলেও ব্যতিক্রম হয়েছে নোয়াখালীতে।

সোমবার বেলা ১২টায় নোয়াখালী শহরের শহিদ ভুলু স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন শেষে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের নাম ঘোষণা করেন।

ওবায়দুল কাদেরের নিজ জেলায় আওয়ামী লীগ সভাপতির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলেও এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি সাধারণ সম্পাদকের। ফলে এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে নানান আলোচনা শুরু হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগের দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এখন সভাপতির নাম ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ভোট করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।’

খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম আগেও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সেই কমিটি বিলুপ্ত হলে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।

এবারের সম্মেলনের আগে সেলিমসহ তিনজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের দুই যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন ও সহিদ উল্যাহ খান সোহেল সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।

অপর দিকে সরাসরি প্রার্থী হওয়ার কথা না বললেও জেলা আওয়ামী লীগের কান্ডারী হতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে তার সম্ভাবনা আছে বলে নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন আছে।

২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। সেবার সভাপতি হন খায়রুল আনম চৌধুরী। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিত কিছু লোকজনকে অন্তর্ভুক্ত করায় ওই কমিটি বাতিল হয়। আর সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান একরামুল করিম চৌধুরী। পরে সদস্য হিসেবে তার জায়গা হয় আহ্বায়ক কমিটিতে।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/জেএ/ডিএম)