টাইব্রেকারে জাপানকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩:৫৭

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোল ব্যবধান ড্র হলে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও আসেনি ফলাফল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জাপানকে ৩-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল বর্তমান রানারআপরা।

নিজেদের প্রথম দুই স্পটকিক থেকে ক্রোয়েশিয়া গোল পেলেও দুটোই মিস করেন জাপানিজ দুই তারকা ফুটবলার মিনামিনো ও মিতোমা। এবার ক্রোয়েশিয়ার হয়ে মিস করেন মার্কো লিভাজা। আর পেনাল্টি কিক থেকে জাপানকে প্রথম গোল উপহার দেন তাকুমা আসানো। চতুর্থ শটে ক্রোয়েটদের হয়ে গোল করেন মারিও প্যাসালিক। অন্যদিকে জাপানের হয়ে মায়া ইয়োসোদা মিস করলে জয় নিশ্চিত হয় ক্রোয়েশিয়ার।

ম্যাচের শুরুর দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু পাচ্ছিল না গোলের দেখা। উল্টো বিরতিতে যাওয়ার আগে খেয়ে বসে এক গোল। ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে নিজেরা দেয়া নেয়া করতে করতে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল নিয়ে যায় জাপান। শেষ ক্রসটি করেন রিতসু দোয়ান। গোলমুখে ভেসে আসা বলটিতে পা লাগিয়ে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন মায়েদা।

অন্যদিকে পুরো ম্যাচের ৪২ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল রাখতে পেরেছে জাপান। আর ক্রোয়েশিয়ার গোলবার বরাবর তারাও নিয়েছে তিনটি শট। এতে একটি গোলের দেখা পেয়েছে এশিয়ান জায়ান্টা দলটি।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে লুকা মদ্রিচরা। সেই সুবাদে খেলার ৫৫তম মিনিটে লভরেনের দেয়া গোলে পাসে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান দলের তারকা ফুটবলার ইভান পেরিসিচ। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত আর কোনো গোল হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ১-১ গোলে শেষ হয়।

আল জানোব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে প্রায় সমানতালেই খেলেছে জাপান ও ক্রোয়েশিয়া। পুরো ম্যাচের ৫৮ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে সক্ষম হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। আর জাপানের গোলবার বরাবর মোট শট নিয়েছে তিনটি। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলাতেও আসেনি ফলাফল।


ক্রোয়েশিয়া একাদশ (ফরমেশন:৪-৩-৩)

ডমিনিক লুকাভিচ, জসকো ভার্দিওল, ডিজান লভরেল, বোরনা বেরিসিচ, জোসিফ জুরানোভিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচ, মাতেও কোভাসিচ, লুকা মদ্রিচ, ব্রুনো প্যাটকোভিচ, ইভান পেরিসিচ ও আন্দ্রে ক্রামারিচ।

জাপান একাদশ: (ফরমেশন: ৩-৪-৩)

সুইচি গোন্ডে, মায়া ইয়োসিডা, সোগো তানিগুচি, তাকেহিরো তোমিইয়াসু, হিদেমাসা হোরিসা, ওয়াটারু হিন্দো, ইয়োতো নাগাতোমু, জুনয়া ইতো, ডাইজেন মায়েদা, ডাইচি কামাদা ও রিটসু দোয়েন।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/এমএম)