নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার ইসদাইরে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মামুন (২২) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় আহত হন নুরনবী (২১) নামক অপর এক যুবক।
সোমবার বিকাল ৫টায় ইসদাইর ওসমানী স্টেডিয়াম সংলগ্ন নুর ডাইংয়ের পেছনের মাঠে এ ঘটে।
নিহত মামুন ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার প্রফেসরের ভাড়াটিয়া বাবুলের ছেলে। আহত নুরনবী টাগারপাড় হক বাজার এলাকার মান্নান মিয়ার পুত্র।
নিহতের বন্ধু শফিকুল জানায়, বিকাল চারটার দিকে তাকে ফোন করে তার বাসার পেছনে আসে মামুন। একটু পর আসে মামুনের বন্ধু নুরনবী। এর কিছুক্ষণ পরেই সাইফুল,পায়েল, জয় সাদ সহ ১০-১৫ জন মামুন এবং নুরনবীকে পেয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে দুজনই মারাত্মক আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে শহরের খানপুরে ৩শ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায় মামুন। আশংকাজনকবস্থায় নুরনবীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তিনি আরো জানান, কোরবানি ঈদের পূর্বে বড় ভাই এবং ছোট ভাই নিয়ে মারামারি হয় সাইফুল গ্রুপের সঙ্গে। সে সময় তা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেয়া হয়।
গতকাল বিকালেও নুরনবীর সঙ্গে এদের কথা কাটাকাটি হয়।এর জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
আহত নুরনবী সাংবাদিকদের জানায়, ইসদাইর বাজারের পেছনের একটি মাঠে হামলাকারীরা গাঁজা সেবন করতো। এ ঘটনার রেশ ধরে সাইফুল-পায়েল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা মামুন ও তাকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে। নিহতের বোন জামাই মো. হোসেন জানান, নিহত মামুন বিবাহিত। সে গাড়িতে বিভিন্ন দোকানে বিস্কুট, চানাচুর সরবারাহের কাজ করতো। নিহতের বাবা ভ্যান চালক।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকালে ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় একটি চায়ের দোকানে জুয়েল ও পাপ্পু নামে দুজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে ছুরিকাঘাতে মামুন মারা যায়। আহত হয় নুর নবী নামে আরেক যুবক।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত নুর নবীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/৬ডিসেম্বর/এআর)