নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের সমাগম

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৩৯ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সমাগম হচ্ছে। তারা রাতে আত্মীয়স্বজনের বাসায় থেকে সকালেই চলে আসেন নয়াপল্টনে। সমাবেশেল বাকি আর মাত্র তিন দিন। এ কয়দিন এভাবেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাগম ঘটবে বলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই নয়াপল্টনে সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাগম আরও বাড়তে থাকে।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা ‘সফল হোক সফল হোক ১০ তারিখের সমাবেশ’, ‘মুক্তি চাই, মুক্তি চাই খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই’- এরকম নানা স্লোগান দিচ্ছেন।  

ঢাকা মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন। এছাড়া সমাবেশ সফল করতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরাও ইতোমধ্যে নয়াপল্টনে এসে জড়ো হয়েছেন। তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় রাত্রিযাপন করলেও সকাল হলেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে উপস্থিত হন।

বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকা বিভাগের সমাবেশ সফল করতে আগে থেকে রাজধানীতে চলে এসেছেন- এমন কয়েকজনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, ধর্মঘটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কথা মাথায় রেখে সমাবেশের আগেই ঢাকায় চলে এসেছেন। তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় রাত্রিযাপন করেন। সমাবেশের ২-১ দিন আগে থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাত্রিযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

ভোলা চরফ্যাশন থেকে এসেছেন মিজানুর রহমান আলম। তিনি বলেন, ‘আমি গত ৫ তারিখেই ঢাকা চলে আসছি। চরফ্যাশন থেকে আমরা আগেই ঢাকায় চলে আসছি, কারণ আমরা জানি শেখ হাসিনা লঞ্চ বন্ধ করে দিবে।’

সমাবেশে যোগ দিতে কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছেন তমাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সমাবেশ সফল করতে গত ৪ তারিখ ঢাকায় এসেছি। দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ। আমার নামে এ পর্যন্ত ১১টি মামলা দিয়েছে, এলাকায় ঠিক মতো থাকতে পারি না। তাই এবার জীবন দেয়ার জন্য আগ থেকেই ঢাকায় চলে আসছি, এবার হয় সরকার পতন করব, না হয় মরব।’

এদিকে বিএনপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত রয়েছে চোখে পড়ার মতো।

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে নয়টি সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে চলমান কর্মসূচি শেষ হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/এফএ)