ঝিনাইগাতীর বিটিসিএল একচেঞ্জের জায়গাটি এখন ময়লার ভাগাড়!

আব্বাস উদ্দিন, শেরপুর
 | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৪৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর বিটিসিএল একচেঞ্জের জায়গাটি এখন পচা, ময়লা, আবর্জনাসহ নর্দমার স্থান হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও নজরদারির অভাবে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও একচেঞ্জ অফিসের জায়গাটি বেহাত হয়ে চলছে।

জানা যায়, গত ৪ যুগ আগে এই স্থানে সরকারিভাবে বার্তা আদান প্রদানের জন্য একটি শক্তিশালী ওয়ার্লেস অফিস স্থাপন করেছিল।

ওই ওয়ার্লেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই অঞ্চলের বার্তা আদান-প্রদানের জন্য একটি শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম ছিল। এই বিটিসিএল ওয়ার্লেসের মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদানের সুযোগ ভোগ করে আসছে। পরবর্তীতে উক্ত ওয়ার্লেস অফিসের সাথে যুক্ত হয় টেলিফোন একচেঞ্জ। উক্ত একচেঞ্জের মাধ্যমে অত্রাঞ্চলে লেন ফোনের ব্যবহার শুরু হয়। টেলিফোন একচেঞ্জ চালু থাকাকালিন সময়ে ওই অফিসের জায়গা নির্ধারণের জন্য খুঁটি ও কাঁটা তার দিয়ে বেষ্টনি দেওয়া ছিল।

কিন্তু এনালক সিস্টেম বন্ধ হওয়ার পর ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ার পর উক্ত অফিসের উপর কর্তৃপক্ষ নজরদারি ও লোকবল কমিয়ে দেয় একচেঞ্জ অফিসের। এরপর থেকে উক্ত অফিসের জায়গায় বাউন্ডারি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে অফিসের সীমানা প্রায় নিশ্চি‎হ্ন হতে চলেছে। অফিসের নির্দিষ্ট বাউন্ডারি না থাকায় এখন অফিসের জমি নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। একদিকে টেলিফোন একচেঞ্জের চতুর্দিকে বাউন্ডারি না থাকায় উক্ত অফিসের জায়গা বেহতা হয়ে চলেছে। উক্ত একচেঞ্জের অফিসটি সংরক্ষিত রাখার কথা থাকলেও বর্তমানে অফিসটি অরক্ষিত ও বেহাল দশা অবস্থায় আছে।

উল্লেখ্য, উক্ত অফিসটি অরক্ষিত থাকার কারণে অফিসের জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলানোর স্থান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। যাহা অফিসের পরিবেশের অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে উক্ত অফিসের পরিবেশ তৈরি করা জরুরি প্রয়োজন বলে মনে করে এলাকাবাসী।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :