ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ছয় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:১০

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী স্পেশাল বিজি (ব্রডগেজ) ট্রেন ভৈরব স্টেশনে ছয় ঘণ্টা আটকে থাকার পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের দুই নাম্বার প্লাটফর্মে এই ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ের ঊধ্বর্তন সহকারী প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম প্লাটফর্মে ট্রেনের লাইন এক মিটার দীর্ঘ করে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করেন।

রেলওয়ের বিজি স্পেশাল ট্রেনটি শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একটি নতুন ইঞ্জিন ও চারটি নতুন কোচ নিয়ে রওনা হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভৈরব স্টেশন পার হওয়ার সময় নতুন ইঞ্জিনের পাওয়ার কার ও কোচের নিচের অংশ ফ্লাটফর্মের নিচে সাইড ওয়ালের সাথে লেগে যায়। এসময় নতুন ইঞ্জিন ও চারটি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার সময় বিজি ট্রেনের চালক বাধ্য হয়েই ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে থামিয়ে দেন। এই কারণে ঢাকা-চট্টগামগামী চট্টলা আন্তঃনগর ও চট্রগ্রাম- ময়মনসিংহগামী বিজয় একপ্রেস, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-ঢাকাগামী তিতাস ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিজি ট্রেনটি নতুন ইঞ্জিন ও কোচ নিয়ে ভৈরব স্টেশনে আটকে থাকে।

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী নবী হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর নতুন ট্রেনের পাঁচটি বগি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় যাওয়ার সময়ে ভৈরব স্টেশনের দুই নাম্বার প্লাটফর্মের সাইট ওয়ালের সাথে লেগে আটকে যায়। এখন রেলের লোকেরা বলছে, স্টেশনের প্লাটফর্মে ওয়াল ভেঙে নতুন কোচ পার করবেন। আগেই যদি দেখে গাড়ি নিয়ে আসত, তাহলে তো এমন সমস্যায় পড়তে হতো না।

চট্টলা এক্সপ্রেস ঢাকাগামী ট্রেনের যাত্রী সরকারি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম রবিন বলেন, আজকের ঘটনাটি রেলওয়ে মালামাল পরিবহনের সাথে যারা জড়িত, তাদের অদক্ষতার কারণেই ঘটেছে। তাদের উচিত ছিল পরিবহনের আগেই পরিদর্শন করা যে প্লাটর্ফম দিয়ে নতুন ট্রেনের বগি যাবে কি না। সেটা নিরুপন না করেই তারা পরিবহন করেছে। ফলে স্টেশনের প্লাটর্ফমের ঢাকাগামীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে।

ভৈরব স্টেশনের প্রকৌশলী বিভাগের ঊধ্বর্তন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আশিকুর রহমান জানান, নতুন ইঞ্জিন ও চারটি কোচ নিয়ে আসা বিজি ট্রেনটি চলার মতো প্রশস্ত লাইন ভৈরবে ছিল না। এ কারণে নতুন আনা ব্রডগ্রেজ ইঞ্জিন ও কোচের নিচের অংশ ফ্লাটফর্মের নিচে পাকার সাথে লেগে যায়। এতে বিজি ট্রেনটি ভৈরব রেলস্টেশন অতিক্রম করতে পারছিল না। চালক প্রথমে স্টেশনের এক নাম্বার লাইনে ট্রেনটি নিয়ে প্রবেশ করলে টের পায় নতুন কোচগুলো ফ্লাটফর্মে নিচে পাকাতে লেগে যাবে। পরে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিজি ট্রেনটি পিছিয়ে দুই নাম্বার লাইনে প্রবেশ করলে এ লাইনেও ট্রেনটি আটকে যায়। পরবর্তীতে আমাদের একটি টিম দীর্ঘ তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আটকিয়ে থাকা ট্রেনের লাইন এক মিটার বাড়িয়ে ট্রেন চালানো ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৪ মিনিটে ঢাকার উদ্যেশ্যে ভৈরব স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় বলে তিনি জানান।

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুরুন্নবি জানান, বিজি ট্রেনটি স্টেশনের মূল লাইনে আটকা পড়ে যাওয়াই ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল সাড়ে তিন ঘণ্টা যাবত বন্ধ ছিল। পরে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর পুরো দমে স্টেশনে সকল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :