পর্তুগাল দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

প্রকাশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:০৪

পর্তুগাল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে ৫১তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাস এক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ব্যানার, পোস্টার, বেলুন, ফেস্টুন এবং রঙিন আলোকসজ্জায় বর্নিল সাজে সজ্জিত করা হয়। সকালে প্রথম পর্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচীর সূচনা করেন।

সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে, দূতাবাসের কর্মকর্তা, ও তাদের পরিবারবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং প্রবাসী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থাপনায় দূতাবাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সিরামিক ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভার শুরুতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বাঙালিদের জীবনে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য  তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার সমাপনী বক্তব্যে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,  মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন যে, সামন্তবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিত্যগ করে একটি আধুনিক, জনমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই বিজয়ের সব চেয়ে মৌলিক আর গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিসংগ্রামের গণমুখী নীতি অনুসরণে বাংলাদেশ মানবোন্নয়নে যে অগ্রাধিকার দিয়েছে তার ফলশ্রুতিতেই  স্বাধীন বাংলাদেশ অভুতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছ। পরিশেষে, রাষ্ট্রদূত শান্তি আর উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সমগ্র দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

আলোচনা পর্বের শেষে প্রবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমেই সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের “আমার পরিচয়” কবিতার সাথে একটি মনোমুগ্ধকর নৃত্যালেখ্য পরিবেশিত হয়। পরবর্তীতে “পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে” এবং “ও পৃথিবী এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে” গানের সাথে বাংলাদেশী নৃত্য শিল্পীদের উপস্থাপনা দর্শকদের বিমোহিত করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের উপর নির্মিত প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/এলএ)