মেঘনায় ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি জাহাজ, তেলের গন্ধে মাছ ধরতে পারছেন না জেলেরা

ভোলার মেঘনা নদীতে ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেলসহ ডুবে যাওয়া এমভি সাগর নন্দিনী-২ নামের একটি জাহাজ তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি। গত রবিবার জাহাজটি তলা ফেটে ডুবে যায়।

এ ঘটনার তিন দিন পার হলেও মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত উদ্ধার কাজ সম্ভব হয়নি। জাহাজের তেল ছড়িয়ে পড়ছে নদীতে। এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে ভাটার টানে সাগরেও পৌঁছে যাচ্ছে এ তেল। ফলে তুলাতলি এলাকায় নদীতে মাছ শিকার করতে পারছে না জেলেরা। তারা তেলের ঝাঁজে নাকাল হয়ে পড়েছেন। এতে ইলিশসহ জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে আসা জেলে মো. রুবেল জানান, গত দুই দিন ধরে তেলের ঝাঁজালো গন্ধের কারণে তিনি মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাঁকে দৌলতখান উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে হচ্ছে।

নদীতে জাহাজের তেল ভেসে যাওয়ায় মেঘনার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা গত দুদিন ধরে মেঘনার পানি ব্যবহার করছেন না। নদী দূষণের আশঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা।

জাহাজ দুর্ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত জাহাজ মালিক পদ্মা ওয়েল কোম্পানি, বিআইডব্লিউটিএ ও পেট্রোবাংলা তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই তিন তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের (পাঁচ কর্মদিবস) মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তুলাতলি মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ‘সব সময়ই মেঘনা নদীতে গোসল করতাম। কিন্তু আজ দুদিন ধরে নদীতে গোসল করছি না।’

এ ব্যাপারে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লা বলেন, এ তেল নদী থেকে সাগরেও ছড়িয়ে পড়ছে। এতে মাছের মারাত্মক ক্ষতি হবে। বিশেষ করে মাছের প্রজনন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন কমে যাবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিজিএম আসিফ মালেক বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত কার্গোটি উদ্ধারের পর বলা যাবে সেটিতে কি পরিমাণ ডিজেল অবশিষ্ট আছে। এরপর বোঝা যাবে আসলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে কিনা। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে কার্গো মালিকপক্ষ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/এআর)