পাঁচবিবির বন বিভাগ অফিস মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:১৬

ফলদ, বনজ ও ঔষধি বিভিন্ন গাছের চারা উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও জয়পুরহাটের পাঁচাবিবি সরকারি বন বিভাগের অফিস চত্বর এখন মাদকসেবী আর অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া বন বিভাগের বাগান মালী বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ফসল চাষেরও অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৯৯০ সালে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ এলাকায় প্রায় ১২ বিঘা জমির ওপরে সামাজিক বনায়ন ও বাগান কেন্দ্র পাঁচবিবি এবং সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

এখানে ফলদ, বনজ ও ঔষধি বিভিন্ন গাছের চারা উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও ১২ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় তিন শতক জমির ওপর সামান্য কিছু চারা রাখা আছে। আর অবশিষ্ট জমিতে পাঁচবিবি বন বিভাগের বাগান মালী মতিউর রহমান ধানের আবাদ করেছেন। জমিগুলোতে গাছের চারা উৎপাদন করলে সরকার রাজস্ব পাবে। এখানকার অফিসসহ ছোট-বড় কয়েকটি ভবনের দরজা-জানালা চুরি হয়ে জরাজীর্ণ ও জনশূন্য হয়ে ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ মাদকসেবী ও অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, এই বন বিভাগে সরকারিভাবে বিভিন্ন চারাগাছ উৎপাদন করার কথা। কিন্তু বর্তমানে জনশূন্য ও ভুতুড়ে পরিবেশ হওয়ায় প্রতিদিন মাদকসেবীরা আসে। বাইরের লোকজন এসে বিভিন্ন প্রকার খারাপ কাজ করে। এতে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে অনেক সমস্যা ও ভয়ের মধ্যে থাকি। পাঁচবিবি উপজেলা সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগান মালী মতিউর রহমান বলেন, স্যারদের বলে ফসলের চাষ করছি। খোলা পরিবেশে উন্মুক্ত নার্সারি, চারদিক দিয়েই মানুষ ঢুকতে পারে। সবসময় নেশাখোর ও খারাপ লোকজন চলফেরা করে। আমি ভয়ের মধ্যে থাকি। তাদের কিছু বললে আমিই বিপদে পড়ি।

সামাজিক বনায়ন ও বাগান কেন্দ্র পাঁচবিবি এবং সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, এখানে জনবল সংকট। একজন মাত্র মালী আছেন। তিনি সবসময় প্রাণের ভয়ে থাকেন। অফিসের হাল ভালো ছিল না। একটা রম্নমের জানালা-দরজা মেরামত করে আমি অফিস করছি। তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ এলেই চারা উৎপাদন করা হবে।

পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মুন্না বলেন, আমার কাছেও মাঝে মাঝে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে পাঁচবিবি বন বিভাগের অবস্থার ব্যাপারে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংস্কার করলে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১ডিসেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :