বাণিজ্যমেলার পর্দা উঠছে আজ

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ফটো

২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার পর্দা উঠছে আজ। দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ১০ দেশের ১৭ প্রতিষ্ঠান। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

জানা গেছে, মেলায় থাকছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজারটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট থাকবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে। মেলায় যাতায়াতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। মেলায় যাতায়াতের সুবিধায় শাটল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। লাভের উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয় না। গতবছরও এ মেলায় দুইশো কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রপ্তানির স্পট আদেশ পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে একটু দূরে হলেও মেলায় অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে আমাদের তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি সবার কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান। এতে পণ্যের মানও উন্নত হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য। আমাদের পণ্যের মান উন্নত ও মূল্য কম হওয়ার কারণে প্রতি বছর রপ্তানি বাড়ছে। গত বছরও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি আমাদের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য। অল্পদিনের মধ্যে এ খাতের রপ্তানি ৪-৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আশা করছি। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে বিশ্ববাজারে। সবমিলিয়ে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিমসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০১জানুয়ারি/আরকেএইচ/ডিএম)