মাদারীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় রবিবার বেলা ১১টায় রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদশন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বলেন, তার মেয়ের সঙ্গে কয়েক দিন আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের বিশ্বম্বরদী এলাকার হাসান (১৮) নামের এক তরুণের পরিচয় হয়। হাসানের ডাকে শনিবার বিকালে রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় ব্রিজ এলাকায় তার সঙ্গে দেখা করতে যায় মেয়ে। এ সময় হাসানের সঙ্গে তার বন্ধু রাব্বিও (১৮) উপস্থিত ছিলো। পরে হাসান ও রাব্বি মিলে মেয়েকে জোর করে ব্রিজের পাশের একটি জঙ্গলে তুলে নিয়ে পালাক্রমে একাধিকবার পাশবিক নির্যাতন করে। পরে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে দুই বন্ধু তাকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফিরে দেখি আমার মেয়ের খুব খারাপ অবস্থা। উপায় না দেখে আমি তাড়াতাড়ি মেয়েকে নিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ছুটে আসি। এখনো আমার মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমি ওই ছেলেদের কঠোর বিচার দাবি করি। পুলিশ এসে পুরো ঘটনা শুনে গেছে।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রুবায়েত ইবনে হাবীব বলেন, ‘একটি মেয়েকে রাতে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি নিয়েছি। তার ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিটা পরীক্ষার ফলাফল আসলে জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে তার ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’

এব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে আমি রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা সব ধরনের আইনগত সহযোগিতা করবো। দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে। কোনোভাবেই দোষী আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না।’

তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে পালিয়েছে। তাদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবার বিষয়টি জানেন বলে জানিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০১জানুয়ারি/এআর)