এক বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৪ শ্রমিক নিহত: বিলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:৩২ | প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:৩০

এক বছরে (২০২২) কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৩৪ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১ হাজার ৩৭ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) জরিপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মক্ষেত্র পরিস্থিতি বিষয়ে এ জরিপ করা হয়।

এতে দুর্ঘটনা, নির্যাতন, শ্রম অসন্তোষ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলীর চিত্র তুলে ধরা হয়।

সোমবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জরিপের পরিসংখ্যান জানায় বিলস।

কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৩৫ শ্রমিক নিহত:

বিলসের জরিপে দেখা যায়, ২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত এবং ১৫৫ জন আহত হন। বিভিন্ন সেক্টরে ১৯৬টি শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে ১১৫টি শ্রমিক অসন্তোষ ঘটে তৈরি পোশাক খাতে।

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু:

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় (২০২১ এর তুলনায় যা ২% কম), এরমধ্যে ১০২৭ জন (৯৯%) পুরুষ এবং ৭ জন (১%) নারী শ্রমিক। খাত অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ৪৯৯ জন (৪৮%) শ্রমিকের মৃত্যু হয় পরিবহন খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৮ জন (১১%) শ্রমিকের মৃত্যু হয় নির্মাণ খাতে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১২ জন (১১%) শ্রমিকের মৃত্যু হয় কৃষি খাতে।

এছাড়া দিনমজুর ৪৬ জন (৫% এর কম), কনটেইনার ডিপোতে ৪৪, মৎস্য ও মৎস্য শ্রমিক ৪৩ জন, ইলেক্ট্রিক শ্রমিক ২২ জন, নৌ-পরিবহন খাতে ১৫ জন, হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ১২ জন, ইটভাটা শ্রমিক ১০ জন, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প শ্রমিক ৭ জন, ক্যামিকেল কারখানা শ্রমিক ৬ জন এবং অন্যান্য খাতে ১০০ জন শ্রমিক নিহত হন।

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৭ জন শ্রমিক আহত:

জরিপে দেখা যায়, ২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১০৩৭ জন শ্রমিক আহত হন, এরমধ্যে ৯৬৪ জন (৯৩%) পুরুষ এবং ৭৩ জন (৭%) নারী শ্রমিক। মৎস্য খাতে সর্বোচ্চ ৫০৩ জন (৪৯%) শ্রমিক আহত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কনটেইনার ডিপোতে ১২৫ জন (১২%) আহত হন। তৃতীয় সর্বোচ্চ তৈরি পোশাক খাতে ৯০ জন (৯%) শ্রমিক আহত হন। এছাড়া পরিবহন খাতে ৮৭ জন (৮%), নির্মাণ খাতে ৮৬ জন (৮%), নৌ পরিবহন খাতে ২৫, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে ২৩ জন, উৎপাদন শিল্পে ১৫ জন, কৃষি শিল্পে ১৫ জন, মেডিসিন কারখানাতে ১২ জন, দিনমজুর ৯জন, স্টিল মিলে ৭ জন এবং অন্যান্য খাতে ৪০ জন শ্রমিক আহত হন।

সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হওয়া, বজ্রপাত, অগ্নিকান্ড, সমুদ্রে ঘুর্ণিঝড়ে ট্রলার ডুবি, পড়ন্ত বস্তুর আঘাত, মাথায় কিছু পড়া, বিষাক্ত গ্যাস, নৌ দুর্ঘটনা, দেয়াল/ছাদ ধসে পড়া, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

(ঢাকাটাইমস/০২জানুয়ারি/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :