ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এজলাসে হট্টগোল: জড়িতদের শাস্তি দাবি জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:১৮ | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এজলাসে হট্টগোল ও বিচারক হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

শুক্রবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ.এইচ.এম. হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ও মহাসচিব মো. মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি জানানো হয়।

এতে দাবি করা হয়, ‘গত ২ জানুয়ারি কিছু আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাস কক্ষে বেআইনীভাবে বিচারিক কাজে নগ্ন হস্তক্ষেপ ও বিচারকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা ন্যক্কারজনক।এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।’

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছে।

এদিকে এজলাসে হট্টগোল করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ তিন আইনজীবীকে উচ্চ আদালতে তলব করা হয়েছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাদের হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়।

তিন আইনজীবী হলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী ও জুবায়ের ইসলাম। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে এজলাসে হট্টগোল করার অভিযোগে জেলার তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চিঠি পাঠান জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক।

পরে সেই চিঠি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হয়। প্রধান বিচারপতি এটি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রেরণ করেন।

উল্লেখ্য, আইনজীবী ও বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আদালতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও কর্মচারীদের মারধরে অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া এ নিয়ে বুধবার সকাল ৯টায় মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।

অপরদিকে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগসহ বিচারকের আপত্তিকর মন্তব্যের বিচার চেয়ে আইনজীবীরা আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। এমন অবস্থায় জেলা জজ আদালত, সিজিএম আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল অচল হয়ে পড়ে। বিচারপ্রার্থীরা পড়েন চরম বিড়ম্বনায়।

(ঢাকাটাইমস/০৬জানুয়ারি/এমএইচ/এসএম)