এই শীতে অসহায় মানুষের খোঁজ নিয়েছি কি?

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৬ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৯

রেজাউল মাসুদ

শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করতে আমরা প্রতিনিয়ত রকমারি ডিজাইনের শীতবস্ত্র পরিধান করি। কিন্তু যে পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত চলি অথবা যে পথ থেকে উঠে এসেছি সেই পথে বসবাসরত অসহায় মানুষগুলোর দিকে কি কখনো তাকাই? খেয়াল করি কি কোনোসময়?  চলার পথে একটু থেমে কিংবা শিকড়ের ভাবনায় সামান্য চিন্তা করলেই তাদের দেখতে পাওয়া যায়। শীতের আগমন এমন ভুখা-নাঙ্গা মানুষদের জন্য সত্যিই যেন অভিশাপ। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় এসব মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। একটি কাঁথা কিংবা পাতলা একটি কম্বল দিয়ে শীত নিবারণ করাই যেন তাদের কাছে অনেক কিছু।

শীতের কষ্টটুকু দূর করতে তাদের কেউ কেউ একটি চটের বস্তা গায়ে দিয়ে শুয়ে রাত কাটানোর প্রহর গুনে, কেউ আবার একটি পলিথিন ব্যাগকে আশ্রয় করে শুয়ে থাকে, আবার কেউ শীতের তীব্রতাকে মেনে নিয়েই কাঁপতে কাঁপতে ঘুমিয়ে পড়ে, কেউ আবার শুকনো খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাপ পোহায় আর অপেক্ষা করে উত্তপ্ত রবির আলোর জন্য। সময় এখন এমন মানুষদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার। একটিবার অসহায় মানুষের কথা ভেবে সাহায্যের জন্য পাশে দাঁড়াই । একটি কাপড় দিয়ে হলেও শীতার্তদের মুখে হাসি ফুটাই।

“গ্রামের দরিদ্র মানুষগুলো হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা। এরা ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। এই শীতার্তদের পাশে এখনই আমাদের দাঁড়ানো দরকার। শীতবস্ত্রের জন্য তারা প্রতিদিন আমার কাছে আসছে, কিছু কম্বল ম্যানেজ করে দাও।”

ফোনে আমার মা-র হ্রদয়গ্রাহী এমন আকুতি ! ওনার আহ্বানটুকু দ্রুত পৌঁছে যায় ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের কাছে। মুহূর্তেই ব্যবস্থা হয়ে যায় আড়াইশ পরিবারের জন্য উন্নতমানের কম্বল। গ্রামের দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে এখন যেন রাজ্য জয়ের হাসি।

 

লেখক: পুলিশ কর্মকর্তা