প্যান্টে মূত্রত্যাগ প্রেসিডেন্টের, ভিডিও প্রচার করে আটক ৬ সাংবাদিক

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন চলছিল। আর ঠিক সেসময়ে প্যান্টে মূত্রত্যাগ। যেই সেই ব্যক্তি নন খোদ রাষ্ট্রপ্রধান। দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের এমন কাণ্ড ধরা পড়ে যায় সাংবাদিকদের ক্যামেরায়। প্রচারও হয় টেলিভিশনে। ঘটনার জেরে আটক ছয় সাংবাদিক।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের দৃশ্যত প্যান্টে মূত্রত্যাগ করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কারণে দক্ষিণ সুদানের নিরাপত্তা বাহিনী ছয় সাংবাদিককে আটক করেছে।

গত মাসে দেশটির কোনো এক সরকারি ইভেন্টে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় দাঁড়িয়েছিলেন সালভা কির। পরে তার প্যান্ট ভিজতে দেখা যায়। ঘটনা দেখে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে আসে। এরপরই ক্যামেরার ফোকাস অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

শুক্রবার দেশটির কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) জানিয়েছে, রাষ্ট্র-চালিত দক্ষিণ সুদান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (এসএসবিসি) ছয় সাংবাদিককে ফুটেজের অননুমোদিত প্রকাশের সন্দেহে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেবা আটক করেছে।

সিপিজে, মিডিয়া রিপোর্ট এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে যারা কথা বলেছিল তাদের উদ্ধৃত করে, কন্ট্রোল রুমের পরিচালক জোভাল টম্বে, ক্যামেরা অপারেটর এবং টেকনিশিয়ান ভিক্টর লাডো, ক্যামেরা অপারেটর জোসেফ অলিভার এবং জ্যাকব বেঞ্জামিন, ক্যামেরা অপারেটর এবং প্রযুক্তিবিদ মুস্তাফা ওসমান, চেরবেক রুবেন এবং কন্ট্রোল রুম হিসাবে আটকদের নাম দিয়েছে।

সিপিজে-এর সাব-সাহারান আফ্রিকার প্রতিনিধি মুথোকি মুমো বলেছেন, গ্রেপ্তারগুলি ‘নিরাপত্তা কর্মীদের নির্বিচারে আটকে রাখার নমুনার সঙ্গে মিলে যায় যখনই কর্মকর্তারা কভারেজকে প্রতিকূল মনে করেন। কর্তৃপক্ষের উচিত এই ছয় কর্মচারীকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া এবং তাদেরকে নির্বিঘ্নে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া।

দক্ষিণ সুদানের সাংবাদিক ইউনিয়ন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দ্রুত তদন্ত তরে ঘটনার মীমাংসা করার অহ্বান জানিয়েছে।

ভিডিওটি গত মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল। শেয়ার করে র্মলত ৭১ বছর বয়সী ফিটনেসহীন বকে রাষ্ট্রপতির বিষয়টি জনসমক্ষে তুলে নিরব প্রতিবাদ জানিয়েছিল জনগণ। কিন্তু বিপরীতে এটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

কির ২০১১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দক্ষিণ সুদানে শাসন করে আসছেন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে ২০২৪ সালের জন্য একটি ভোট নির্ধারিত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৭জানুয়ারি/এসএটি)