১৫ বছর পর সন্তান হত্যার দায়ে সৎ মায়ের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:০৮ | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪৬

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুষ্টিয়ার খোকসায় খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাঁচ বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে ১৫ বছর পর নাসিমা বেগম (৫০) নামে সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রবিবার দুপুর ১টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত নাছিমা বেগম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চর ভাবনিপুর গ্রামের উন্তার মৃধার মেয়ে। খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের বাদশা প্রামাণিকের দ্বিতীয় স্ত্রী।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং এজাহার ‍সূত্রে জানা য়ায়, ১৮ বছর আগে দুই সন্তান রেখে মারা যান প্রথম স্ত্রী। এরপর কুমারখালী উপজেলার চর ভাবনিপুর গ্রামের উন্তার মৃধার মেয়ে নাছিমা বেগমকে বিয়ে করেন খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের হাচেন প্রামাণিকের ছেলে বাদশা ।

বাদশার দ্বিতীয় বিয়ের পর আগের পক্ষের শ্বশুর দুরুদ আলী দুই সন্তান শাহীন (৫) এবং রায়হানকে (৭) তার কাছে নিয়ে লালন পালন করতে থাকেন।

২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঈদ উপলক্ষে জামা কেনার জন্য দুই সন্তানকে বাদশার বাড়ি দিয়ে যায় শ্বশুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় ছোট ছেলে শাহিনকে ভাতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেয় শাহিনের সৎ মা নাছিমা বেগম।

খাবার খেয়ে শাহিন অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। এই ঘটনার পরের দিন শাহিনের বাবা বাদশা প্রামাণিক বাদী হয়ে খোকসা থানা একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নাছিমা সৎ ছেলে শাহিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এবং ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি একমাত্র আসামি ও শাহিনের সৎ মা নাছিমার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খোকসা থানার এসআই হাবিবুর রহমান। দীর্ঘ শুনানি শেষে রবিবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

(ঢাকাটাইমস/০৮জানুয়ারি/এসএ)