স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই অভিযোগে শিশু বয়সী একজনকে পাঁচ বছরের আটকাদেশ এবং অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন শিশুকে খালাস দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার বিকালে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা
আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, আমিনপুর থানার ভবানীপুর গ্রামের সজিব হোসেন (২২), সুমন কর্মকার (২৪), ইমন মন্ডল (২৬) ও খন্দকার জোসেফ (২৬)।
পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলেন, একই থানার কদিমালঞ্চি গ্রামের নাহিদ হাসান (২২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী রাজধানীর মিরপুরের একটি স্কুল থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। ওই বছরের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের কারণে মেয়েকে (১৫) নিয়ে ঢাকা থেকে পাবনার আমিনপুর থানার ভবানীপুর গ্রামের বাড়িতে আসেন তার বাবা-মা। গ্রামে থাকাবস্থায় মুঠোফোনে মেয়েটির সাথে পরিচয় হয় একই গ্রামের নাহিদ হাসানের। সে বিভিন্নভাবে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো। প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হওয়ায় ওই বছরের ৭ জুন রাতে শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে নাহিদ তার অন্য সহযোগী বন্ধুরা মেয়েটির হাত-মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গোঙানির শব্দ শুনে তার বাবা-মা এসে মেয়ের ধর্ষণের কথা জানতে পারেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৩ জুন আমিনপুর থানায় ৬ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণা করে আদালত।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আবদুর রকিব সন্তষ্টি প্রকাশ করলেও, অসন্তোষ প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান আলী মণ্ডল।
(ঢাকাটাইমস/০৮জানুয়ারি/এলএ)