তাড়াশে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
চলনবিল অধ্যাসিুত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরিষার ক্ষেত হলুদ ফুল ঝড়ে যাওয়া পর এখন পাকা সরিষায় একাকার হয়ে গেছে। আর এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটছে হাসির ঝিলিক।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি লক্ষ্যমাত্রা অজির্ত হয়েছে। চলতি বছরে তাড়াশ উপজেলায় পাঁচ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল। কিন্তু চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ছয় হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। তাছাড়া সরকারিভাবে সরিষা চাষে কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় সার, বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করার ফলে কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।
বাম্পার ফলনের পেছনে কারণ হিসেবে জানা যায়, পোকার আক্রমণ থেকে সরিষা রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আগেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। বর্তমানে নতুন সরিষা ঘরে তুলছেন কৃষকেরা। পুরোপুরি সরিষা তুলতে এখনো দু-সপ্তাহের মত সময় লাগবে।
উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পেঙ্গুয়ারী গ্রামের কৃষক শাহিন আলম জানান, কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের কৃষকদেরও বুদ্ধির বিকাশ ঘটেছে। এ বছর কাঁচা পাকা সরিষা বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আমার ১০ বিঘা জমির সরিষা পেকে যাওয়াতে উঠানো শুরু করেছি। এখন বর্তমান বাজারে প্রতিমণ সরিষার দাম ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা দরে বেচাবিক্রি চলছে।
উপজেলার নওগাঁ হাটে সরিষা বিক্রি করতে আসা কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, বিঘা প্রতি চার মণ থেকে ছয় মণ করে সরিষা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিমণ সরিষার মূল্য প্রকারভেদে ১৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে শুকানো সরিষার দাম আরো বেশি হবে বলে জানান তিনি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ বছর কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমণ হলে কি করনীয় সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করেছেন। তাছাড়া কর্মকর্তারা সব সময় মাঠে থেকে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন।(ঢাকাটাইমস/০৯জানুয়ারি/এসএ)