লালমনিরহাটে অপহৃত প্রধান শিক্ষককে পাঁচ দিন পর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি গ্রামের দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল আমিনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণের পাঁচ দিন পর উদ্ধার ও অপহরণের সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকাল ৩টায় লালমনিরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অপহরণের শিকার শিক্ষককে উদ্ধার ও অপহরণের সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার।

গ্রেপ্তাররা হলেন,টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ভোলার পাড়া এলাকার মজিবর রহমানের পুত্র আব্দুল বারী (৪৩) ও নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ভূগী এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র শফিউল আলম (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে জানান, ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জন লোক একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস ও একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার যোগে ওই শিক্ষকের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। অপহরণকারীদের একজন বাড়ির মূল দরজার দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে দরজা খুলে দিলে বাইরে থাকা অন্য বাড়িতে ঢুকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রথমে শিক্ষকের ভাই রুহুল আমিনের ঘরে ঢুকে তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে। তখন নুরুল আমিন ঘর থেকে বের হলে অপহরণ করতে আসা ব্যক্তিরা রুহুলকে ছেড়ে দিয়ে নুরুল আমিনকে ধরে এবং তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় শিক্ষকের স্ত্রী মাহফুজা বেগম, ভাই, রুহুল আমিন এবং অন্যরা অপহরণকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা এসপি অফিসের লোক বলে জানায়। তাদের নিকট পুলিশের আইডি কার্ড দেখতে ও নূরুলকে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়ায় বাড়ির লোকজনদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে তারা। এতে শিক্ষকের চাচা আবু তালেব ও ভাই রুহুল আমিন আহত হয়। পরে শিক্ষককে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে আদিতমারী হয়ে লালমনিরহাট অভিমুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরদিন (৭ জানুয়ারি) আদিতমারী থানায় অপহৃত শিক্ষক নূরুল আমিনের ছেলে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ শিক্ষক নূরুল আমিনকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা চালায়।টানা ০৫ দিন অনুসন্ধান চালিয়ে অপহৃত শিক্ষক ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে ১১ জানুয়ারি ভোরে আদিতমারী থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণের সাথে জড়িত ২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

(ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/এলএ)