প্রাইভেটকারচাপায় বৃদ্ধা নিহত, ইউপি সদস্যসহ আহত ৩

যশোরের চৌগাছায় মাদক ব্যবসায়ীদের প্রাইভেটকারচাপায় সুফিয়া বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামের নওয়াব আলীর স্ত্রী।

দুর্ঘটনায় সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরষিদের এক নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আল আমনি (৪৫), প্রাইভেটকারচালক ও ফুলসারা ইউনিয়নের বারুইহাটি গ্রামের আশাদুল ইসলাম ওরফে ট্যাংরা (৩৮) ও বলিদাপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম (৩৬) গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতবিার বিকাল ৩টার দিকে চৌগাছা-মহশেপুর সড়কের হাজরাখানা পীর বলুহ দেওয়ান দাখিল মাদ্রাসা মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত নাজমুল এবং টেংরা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বুন্দলিতলার স্থানীয়রা বলছে, এই গাড়িটি প্রায় প্রতিদিনই বুন্দলিতলার ওপর দিয়ে খুব দ্রুত চলে যায়। গাড়িতে মাদক পরিবহন করা হয় বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজমুলের মালকানাধীন লাল রঙের ঢাকা মেট্টো-ক (০৩-৬৮৮৪) প্রাইভেটকারটি মহেশপুর থেকে চৌগাছার দিকে আসার পথে দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা একটি (রেইন্টি) কড়ইগাছে মেরে দিয়ে গাছের পাশে বসে থাকা সুফিয়া বেগমকে (৬০) চাপা দিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ওই বৃদ্ধাসহ প্রাইভেটকার আরোহী তিনজন মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুফিয়া বেগমের মৃত্যু হয়।

আশরাফ ওরফে ট্যাংরা ও নাজমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এছাড়া ইউপি সদস্য আলামনিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল-আমীনের বাম হাতের দুস্থানে ভেঙে গেছে এবং মাথায় জখম হয়েছে, ট্যাংরার জ্ঞান ফেরেনি এবং সুফিয়া খাতুনের লাশ চৌগাছা হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখাছিল।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এলএ)