রাজধানীতে অটোরিকশা চালক হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪০ | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৪

রাজধানীর দক্ষিণখানে মো. মোস্তফা নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় জড়িত একটি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি ডিবি) উত্তরা বিভাগ।

মৌলভীবাজারের রাজনগর ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. খালেদ খান শুভ, মো. টিপু, মো. হাসানুল ইসলাম ওরফে হাসান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মজিদ ও মো. সুমন।

এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মুঠোফোন, ছুরি ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে মো. মোস্তফা নামের এক যুবক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। পরে তিনি বাড়িতে না ফিরলে গত ১২ ডিসেম্বর তার মা দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নিখোঁজ জিডি) করেন। জিডি নম্বর-৪৫৯।

পরে ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর দক্ষিণখান থানার আসিয়ান সিটির ২৩ নম্বর সড়ক এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মোস্তফার মা শামছুন্নাহার বেগম বাদি হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের সনাক্ত করা হয়। পরে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিম মৌলভীবাজারে রাজনগর থানার ইন্দানগর গ্রামের মিনা বেগমের বসত বাড়ি থেকে আসামি মো. খালেদ খান শুভকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার কাছ থেকে নিহত মোস্তফার ব্যবহৃত একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া তার তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান এলাকা থেকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মো. টিপু, মো. হাসানুল ইসলাম ওরফে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত টিপু ও হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আব্দুল মজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর হোসেন ও আব্দুল মজিদদের কাছ থেকে এই মামলার ঘটনায় নিহত মোস্তফার অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আরেকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি ছুরি জব্দ করা হয়।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নিহত মোস্তফার সত্তরোর্ধ্ব মা শামছুনাহার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলে নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পর ছেলের নিথর দেহ দেখেছি।

আহাজারি করে তিনি বলেন, আমার ছেলের বউসহ আমার তিন নাতি-নাতনি আছে। তারা ছোট-ছোট, তাদের নিয়ে আমি এখন কোথায় যাব। আমার ছেলেই আমার সংসার চালাতো। আমার কেউ রইলো না।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/এএ/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

​​​​​​​যাত্রীদের নিরাপত্তায় কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

ছুটির দিনে রাজধানীর বিপণি কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

বিজিবিতে আযান ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিচার

এক হাতে ইফতারের পানির বোতল, আরেক হাতে যান চলাচলের ইশারা ডিসির

এলিফ্যান্ট রোডে বাসা থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

অসুস্থতার যন্ত্রণা সইতে না পেরে ছুরিকাঘাতে রিকশাচালকের আত্মহত্যা

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’

বুধবার থেকে এক ঘণ্টা বাড়ছে মেট্রোরেল চলাচলের সময়

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :