ইউক্রেনে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঢেউ, নিহত ১২
ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে। শনিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিনিপ্রোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে রুশ হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। কিয়েভ, খারকিভ এবং ওডেসাসহ আরও কয়েকটি শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুতের অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশই এখন জরুরি ব্ল্যাকআউটের মধ্যে রয়েছে।
এর আগে যুক্তরাজ্য বলেছিল যে তারা দেশের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করতে ইউক্রেনে চ্যালেঞ্জার ২ ট্যাঙ্ক পাঠাবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, চ্যালেঞ্জার্স ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক। এটি কিয়েভের বাহিনীকে রুশ সেনাদের পিছনে ঠেলে সাহায্য করবে।
রাশিয়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে যে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করলে রুশ অভিযান তীব্রতর হবে এবং আরও বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটবে।
এর পর শনিবার ইউক্রেনীয়দের পুরানো বা অর্থোডক্স নববর্ষ উদযাপনে দিনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পশ্চিমা অংশীদাররা প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করলেই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে।
‘এর জন্য কী দরকার? যে অস্ত্রগুলো আমাদের অংশীদারদের ডিপোতে রয়েছে এবং যেগুলোর জন্য আমাদের সৈন্যরা এত অপেক্ষা করছে,’ জেলেনস্কি তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন।
তিনি আরো বলেন, তার বাহিনী ৩০টির মধ্যে ২০টিরও বেশি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ডিনিপ্রোতে বিধ্বংসী হামলা একটি নয় তলা ভবনের প্রবেশপথে আঘাত হানে। বেশ কয়েকটি তলা ধোঁয়াটে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ১৪ শিশুসহ ৭৩ জন আহত হয়, যা মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হামলা হতে পারে।
হামলার স্থানে উদ্ধার অভিযান দেখার জন্য একটি বিশাল জনসমাগম হয়েছিল, যখন অন্যরা জীবিতদের জন্য মরিয়া অনুসন্ধানে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয়। সেখানে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা স্বেচ্ছাসেবকদের মানব শৃঙ্খল এবং ধুলো ও ধোঁয়ার ঘন মেঘ দেখা গেছে।
ভাষণে জেলেনস্কি বলেছিলেন যে ডিনিপ্রোতে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার সারা রাত অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য, প্রতিটি জীবনের জন্য লড়াই করছি।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত ছয় শিশুসহ ভবন থেকে ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকটি এভাবে ধ্বংস হয়েছিল সে সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য নেই, কারণ এটি নিকটতম বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে কিছুটা দূরে।
(ঢাকাটাইমস/১৫জানুযারি/এফএ)