তসলিমা নাসরিন এসব কী লিখলেন!

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। বর্তমানে থাকছেন ভারতের নয়া দিল্লিতে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করা এই লেখিকা সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয়। ব্যক্তিগত জীবনের মতো ফেসবুকে দেওয়া তার পোস্টগুলো নিয়েও থাকে বিতর্ক। কিন্তু এবার এসব কী লিখলেন তিনি!

শনিবার তসলিমা নাসরিন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছোট্ট দুই লাইনের একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল চলছে।’ এরপর একই দিন গভীর রাতে লেখিকা এক লাইনের আরেকটি পোস্ট দেন। এবার লেখেন, ‘আমার মরনোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে।’

হঠাৎ এমন দুটি পোস্ট কেন দিলেন তসলিমা নাসরিন। মন্তব্যের বাক্সে তারই জবাব খুঁজছেন তার অনুসারীরা। অনেকে আবার তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আলমগীর শাহরিয়ার নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘চিরকাল বিজ্ঞান ও যুক্তির জন্য লড়াই করা একজন লেখকের কাছে তাই প্রত্যাশিত।’

দেব দুলাল গুহ নামে একজনের জিজ্ঞাসা, ‘বিষয়টা কি সিরিয়াস? পোস্টগুলো কি লেখক নিজে পোস্ট করছেন, নাকি তাঁর হয়ে অন্য কেউ? আমার কেন যেন গোলমেলে ঠেকছে। কেউ একটু খোঁজ নিবেন?’

তসলিমাকে উদ্দেশ্য করে সুদীপ্তা চৌধুরী নামে একজনের মন্তব্য, ‘খুব ভালো করেছেন। অভিনন্দন ও ভালোবাসা জানাই। সাথে একটু কষ্টও রইল। কতখানি হতাশা থেকে এই উচ্চারণ ও কাজ- দেশের মাটিতে ফেরা যে হবে না, আপনজনেরা শেষ কাজ করবে না জীবন থাকতে, এ কথা মেনে নিয়েছেন, বড্ড যন্ত্রণাদায়ক সত্য! অনেক অনেক ভালোবাসা।’

নন্দিতা নন্দী নামে কলকাতার এক বাসিন্দা লিখেছেন, ‘আমিও করে রেখেছি তসলিমা! শুধু ঐ দিনটির অপেক্ষায়। জীবদ্দশায় একটি কিডনি/একটি চোখও আমি ৩০ বছরের মধ্যেকার কোনো দরিদ্র সন্তানদের প্রয়োজনে রেজিস্টার দানপত্র করে দিয়েছি। এই ভালো কাজটির সুযোগ আমাকে একটি বিশেষ হসপিটাল করার সুযোগ করে দিয়েছে।’

এরকম বহু ইতিবাচক মন্তব্য জমা পড়েছে তসলিমা নাসরিনের পৃথক দুটি পোস্টে। অনেকে আবার যথারীতি তসলিমার পোস্টগুলোতে হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়েছেন। সঙ্গে করেছেন নেতিবাচক নানা মন্তব্যও। যদিও ভালো-মন্দ কোনো মন্তব্যেরই কোনো জবাব দেননি তসলিমা নাসরিন।

বিতর্কিত লেখনির কারণে ইসলামপন্থীদের রোষানলে পড়ে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন তসলিমা নাসরিন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় খোঁজেন। কিছুদিন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর তিনি ভারত সরকার কর্তৃক দিল্লিতে অজ্ঞাতবাসে অবস্থানের সুযোগ পান।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এজে)