ঝিনাইদহে প্রবাসীর বায়না জমির রেজিস্ট্রি নিয়ে তালবাহানা, কোর্টের নিষেধাজ্ঞা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:২৫ | প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩৯

ঝিনাইদহের আমেরিকা প্রবাসী এক বাংলাদেশির কেনার উদ্দ্যেশে বায়না করা দখলীয় জমি নিয়ে ষড়যন্ত্র ও তালবাহনা শুরু করেছে একটি কুচক্রী মহল।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের বেজিমারা গ্রামের সাখাতুল্লাহ মালিতার ছেলে আলাউদ্দীন আহম্মেদ বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করেন।

তিনি তার গ্রামের বাড়ির পার্শ্ববর্তী গ্রামের চান্দুয়ালীর মাঠে ৪৮নং মৌজার ৭৬৭নং খতিয়ান ভূক্ত বিভিন্ন দাগের ৬২৮ শতক জমি কেনার উদ্দেশ্যে সাত লাখ টাকা বায়না করে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে জমি বিক্রয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬৭ লাখ টাকা। জমি বিক্রয়ে সম্মত হয়ে জমির মালিক হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত সামসুল হক জোয়ার্দারের ছেলে মো. ওয়াহেদুল হক জোয়ার্দ্দার বায়না গ্রহণ করেন।

তবে শর্ত হয়, জমির হাল দাখিলা এবং খারিজ খতিয়ান সম্পন্ন হওয়ার পর জমি রেজিস্ট্রি করা হবে এবং সেই মোতাবেক তার পাওনার সমুদয় টাকা জমি বিক্রেতাকে পরিশোধ করবে। এই ৬২৮ শতক জমির মধ্যে ওয়াহেদুল হক জোয়ার্দ্দারের ভাই জামানের ৩৬ শতক জমি ইতোমধ্যে টাকা পরিশোধ করে আলাউদ্দীন আহম্মেদের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।

এখন বাকি ৫৯২ শতক জমি ওয়াহেদুল হক জোয়ার্দ্দার রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা না করে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের নিকট ধর্না দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করছে। এমনকি আলাউদ্দীন আহম্মেদকে জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে চান্দুয়ালী গ্রামের আওলাদ আলী, আক্কাচ আলী ও ফারুক হোসেনসহ কয়েকজনের নিকট সেই জমি বন্দক বা বর্গা দেওয়ার পায়তারা করছে। বিষয়টি অবগত হয়ে প্রবাসী আলাউদ্দীনের পক্ষে তার ভাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করিলে জমির ফসলাদি রক্ষা ও চাষাবাদে বাধা প্রদানের বিরুদ্ধে কোর্ট থেকে জমির উপরে ১৪৪ ধারা জারি করে। যাতে আলাউদ্দীন আহম্মদের ক্রয়কৃত এবং বায়নাকৃত সম্পত্তিতে শান্তি-শৃংখলা বজায় থাকে সে মোতাবেক থানা নির্দেশ দেয়।

এই অবস্থায় এলাকার সচেতন মহল মনে করে ৩ বছর আগে বায়না করা সম্পত্তি মো. ওয়াহেদুল হক জোয়ার্দার ও তার ভাই জামান জোয়ার্দার (গুলু) একজন প্রবাসী রেমিটেন্সযোদ্ধার নিকট হতে সাত লাখ টাকা গ্রহণ করে জমি রেজিস্ট্রি না করে উল্টো জবর দখলের চেষ্টায় মেতেছে। তারা এই কুচক্রীমহলের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

এ বিষয়ে প্রবাসী আলাউদ্দীনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি অনেক কষ্ট করে এই জমিগুলো ক্রয়ের চেষ্টা করেছিলাম ৬২৮ শতক জমির জন্য সাত লাখ টাকা বায়না দিই, কিন্তু এখন সেই জমি রেজিস্ট্রি না করে দিয়ে প্রভাবশালী মহল দিয়ে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জমির মালিক মো. ওয়াহেদুল হক জোয়ার্দ্দার বলে, জমিটি আমি বিক্রয়ের উদ্দ্যেশে টাকা নিয়েছি ঠিকই আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে। অগ্রিম বায়না আরও দেওয়ার কথা ছিল, কিন্ত তিনি আমাকে আর কোন টাকা না দেওয়ায় আমি আর তাকে জমি দিতে চায়না।

বাজার গোপালপুর ক্যাম্পের টুআইসি তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই আবু জাফর জানান, যেহেতু কোর্টেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেকারণে কোন পক্ষই জমিতে যেতে পারেন না। কিন্তু এই জমি অনাবাদি থাকবে এটাও আমি চায়না, সে কারণে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমি উভয় পক্ষকে রবিবার ফাঁড়িতে ডেকেছি। দেখা যাক সমস্যার সমাধান করা যায় কিনা।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :