৪৭২ কোটি টাকা পাচার, বিপিসির ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্টের অসন্তোষ

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

টাকা পাচার হয় আর বিপিসি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ অসন্তোষ প্রকাশ করে এমন কথা বলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

আদালতে বিপিসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন এবং আইনজীবী আব্দুস সামাদ আজাদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

বিপিসির আইনজীবীরা আদালতে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানিতে টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের কথা স্বীকার করেন।

তারা বলেন, অনিয়মের পেছনে দায়ী মঈনুদ্দিন আহমেদ ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদ। মোহাম্মদ শাহেদ বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। তবে তিনি করোনার মধ্যে মারা গেছেন। তখন আদালত বিপিসির আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, তখন কি আপনারা (বিপিসি) নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন?

আইনজীবীরা বলেন, অনিয়ম নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। এ ঘটনায় কমিটি গঠন ও মামলা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ যিনিই করুন, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে হবে।

পরে আদালত দুদক ও বিপিসিকে এফিডেভিট আকারে তদন্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন। ওই দিন পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।

এর আগে এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। অডিটর জেনারেল ও বিপিসির চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/ইএস)