শীতে যেসব কারণে আমলকি বেশি খাওয়া বিপজ্জনক

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:০৩

প্রকৃতিতে চারিদিকে শীতের আমেজ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সকালের সূর্য, শিশির বিন্দুতে ভিজে উঠছে ঘাস, গাছপালা, লতাপাতা। শীতের সময়ে নানা ধরনের ভাইরাস জ্বর, হজমের অসুবিধাসহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ার ফলে বায়ুদূষণের পরিমাণও বাড়তে থাকে। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ ফুসফুসে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মৌসুমি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ফল আমলকি। আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে। স্বাস্থ‍্যরক্ষা ছাড়াও আমলকির আরও অনেক গুণ রয়েছে। রূপচর্চাতেও আমলকি যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর সুপারফুড আমলকির গুণ অনেক। কিন্তু এই উপকারী ফলটিও কিছু ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমলকি খেলে কী কী সমস‍্যা হতে পারে?

উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে

রক্তচাপের মাত্রা বেশি থাকলে আমলকি না খাওয়াই ভাল। তাতে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জররি। নয়তো এর হাত ধরেই জন্ম নিতে পারে হৃদ্‌রোগ। ঝুঁকি কমাতে আমলকি থেকে দূরে থাকুন উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা।

হজমের সমস্যা

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাদের অম্বলের সমস্যা খুব বেশি, নিয়মিত আমলকি খেলে তাদের সেই সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। যাদের রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা আছে, তাদের আমলকি না খাওয়াই ভালো। রক্ত আরও পাতলা হয়ে যেতে পারে। আমলকিতে রক্ত বন্ধ না হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। রক্তপাত বন্ধ না হলে টিস্যু হাইপক্সেমিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে

জুস বা অন্য কোনও ভাবে খাওয়ার থেকে আমলকি চিবিয়ে খাওয়াই ভালো। এই সময়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকি। তাই শীতের সময়ে যখন ফলন বেশি হচ্ছে, তখন গোটা ফল খাওয়ার সুযোগ নিতে হবে। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে ১-২টি আমলকি খাওয়া যায়। এতে সব চেয়ে বেশি উপকার হয়। তবে দিনে দু'-একটির বেশি আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এর জেরে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

সার্জারি হলে এড়িয়ে চলুন

কিছু ক্ষেত্রে আমলকি এড়িয়ে যাওয়া ভালো। যদি কোনও সার্জারি হয়ে থাকে বা কোনও ব্লাড থিনিংয়ের ওষুধ খান কেউ, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অন্তঃসত্ত্বা বা যাঁরা বাচ্চাকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাদেরও আমলকি এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

হার্টের জন্য ক্ষতিকর

আমলকি একটি শক্তিশালী কার্ডিওভাসকুলার উদ্দীপক। তবে আমলকি আপনার হৃদয়ে কোনও কঠোর প্রভাব পড়ে না। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে কার্ডিয়াক সমস্যাযুক্ত কোনও সমস্যা থাকলে এই ফলটি ব্যবহার করার আগে তাদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

ঠান্ডা লাগতে পারে

আমলকি শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। সুতরাং ফলটি অধিক পরিমাণে খেয়ে ফেললে জ্বর-সর্দি হতে পারে। আপনি যদি ইতোমধ্যে কোনও সর্দি বা কাশিতে ভুগছেন তাহলে না খাওয়ায়ই শ্রেয়। এক্ষেত্রে আমলকি ত্রিফলা আকারে ব্যবহার করুন।

ত্বকের সমস‍্যা

বেশি আমলকি খেলে শরীরে পানির পরিমাণ কমতে থাকে। এর প্রভাব পড়ে ত্বকেও। আর্দ্রতার অভাবে ত্বকে দেখা দেয় র‍্যাশ, ব্রণর মতো নানা রকম সমস‍্যা।

অ্যালার্জি হতে পারে

খুব কম লোকেরই আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জি হতে পারে। অত্যধিক খাওয়ার ফলে কিছু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। যেমন পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা হতে পারে।

ঢাকাটাইমস/১৭ জানুয়ারি/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :