ভিটামিন ডি’র ঘাটতি ডেকে আনে নানা রোগ, সমাধান খাবারেই
শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া চালু রাখতে প্রয়োজন ভিটামিন। একাধিক ভিটামিন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে সক্রিয় রাখে। তাই ভিটামিনের ঘাটতি হলেই নানারকম রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। প্রতিটি ভিটামিনেরই আলাদা আলাদা কিছু ভূমিকা রয়েছে। সবকটি ভিটামিনের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো ভিটামিন ডি।
শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে বড়সড় রোগ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি’র ঘাটতি হলে মানসিক শান্তিও বিঘ্নিত হয়। ভিটামিন ডি’র ঘাটতি হলে শরীরে বেশ কয়েকটি লক্ষণ ফুটে ওঠে। আপনার শরীরেও সেই ঘাটতি রয়েছে কিনা তা বুঝবেন কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই লক্ষণগুলো-
ক্লান্তি, অবসাদ, দুশ্চিন্তা (অ্যাংজাইটি), হাড়ের ব্যথা, হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, পেশিতে ব্যথা, রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যাওয়া, ঠিকমতো খিদে না পাওয়া, ক্ষতস্থান শুকোতে বেশি সময় লাগা ও ওজন বাড়তে থাকা।
কিছু নির্দিষ্ট খাবার ভিটামিন ডি’র ঘাটতি অনায়াসে পূরণ করে। শরীর ভালো রাখতে এগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে।
ডিম: ডিমের কুসুম ভিটামিন ডি’র সমৃদ্ধ উৎস। তাই প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডিম থাকা দরকার। তবে কুসুম বাদ দিয়ে ডিম খাবেন না। তাতে ঘাটতি থেকেই যাবে।
কমলালেবুর রস: শীতকাল মানেই কমলালেবু। মূলত এই ফল ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি-এ ভরপুর। শীতে নিয়মিত কমলালেবু খেলে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ হবে অনায়াসেই।
দুধ: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে প্রথমেই দুধ খেতে বলেন চিকিৎসক। তবে এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি-এর অভাব মেটাতেও দুধ কার্যকর।
আমন্ড: শরীরে ভিটামিন ডি’র মাত্রা বাড়াতে আমন্ড ও পালং শাক খাওয়া যেতে পারে। বাদামের মধ্যে আমন্ড বেশ কয়েকটি রোগ সারাতে সাহায্য করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন ডি’র অভাবজনিত রোগ।
পালং শাক: শীতের শাকসবজির মধ্যে পালং শাক অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। এই শাকটি শরীরে ভিটামিন ডি’র জোগান ঠিক রাখে।
(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এজে)