স্মার্ট বাংলাদেশ: সময়ের প্রতিধ্বনি

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫৮

মো. সাখাওয়াত হোসেন

বিদেশ ফেরত এক প্রবাসী ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল, তিনি তাঁর বিদেশ বিভুঁইয়ের গল্প আমাকে শোনাচ্ছিলেন। নিজের বিষয়ের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশী প্রবাসী ভাইদের দুঃখ দুর্দশার বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করছিলেন।

তিনি যে চমকপ্রদ বিষয়টি আমার সঙ্গে শেয়ার করেন তার তাৎপর্য ছিল এমন: বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকরা সাধারণত নিম্ন বেতনের কাজকর্মে সম্পৃক্ত থাকেন এবং তাদের কাজকর্মও অধিকাংশই নিম্ন পর্যায়ের চাকুরিতে থাকায় বেতনের পরিমাণও তুলনামূলকভাবে কম।

সে হিসেবে যে বিষয়টি অত্যন্ত বিবেচনার মধ্যে থাকা উচিত সেটি হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করা এবং সিটিজেন স্মার্ট করেই বিদেশে নাগরিকদের কর্মে প্রেরণ করা উচিত। অন্যদিকে আমাদের সঙ্গে অর্থনীতির সূচকে যে সকল দেশের গড়পড়তা অবস্থান ওই সকল দেশের নাগরিকরা অফিসিয়াল কাজকর্মে সম্পৃক্ত থাকে। অর্থাৎ তাদের নাগরিকেরা তুলনামূলক বিশ্লেষণে দক্ষ ও স্মার্ট।

সঙ্গত কারণেই ওই সব দেশের নাগরিকদের আয় রোজগার বেশি এবং তাদের দেশও অধিক পরিমাণে রেমিটেন্স পাচ্ছে। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত হারে শ্রমিক যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে কিন্তু যাওয়ার পূর্বে যেভাবে যে প্রক্রিয়ায় দক্ষ হয়ে সিলেক্টেড দেশে গমন করার বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত সে বিষয়ে স্পষ্টত জ্ঞানের অভাব থাকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিকও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং সর্বোপরী বাংলাদেশও বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, বর্তমানে প্রবাসী ভাইয়েরা অনেকেই সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় টাকা না পাঠিয়ে বিভিন্ন অবৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিকটাত্নীয়ের কাছে টাকা পাঠানোয় দেশও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অর্থাৎ তারা এ বিষয়টি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয়, সরকারি নিয়মের বাইরে টাকা পাঠালে দেশ যে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সে বিবেচনাবোধ তাদের মধ্যে সঙ্গত কারণেই থাকে না।

উপর্যুক্ত কারণেই স্মার্ট নাগরিকের প্রয়োজন কেননা স্মার্ট নাগরিকই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে স্মার্টনেজ প্রদর্শন করে থাকে। অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের যে রূপরেখা প্রণিত হয়েছে তার বাস্তবায়নে স্মার্ট নাগরিকের বিকল্প নেই।

এর বাইরে অসংখ্য ‍বিষয়াদি রয়েছে যার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের নাগরিকদের স্মার্টনেজ তথা স্মার্ট নাগরিক হওয়া অত্যন্ত জরুরী। শুধুমাত্র জানার ক্ষেত্রে অজ্ঞতা থাকায় নাগরিকেরা সরকারের অসংখ্য সুবিধাদি গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সরকারও নাগরিকের কাছ থেকে ধার্যাকৃত ট্যাক্স ভ্যাট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারি সহায়তা গ্রহণে যেমনিভাবে স্মার্ট নাগরিক হওয়া জরুরী ঠিক তদ্রুপ সরকারকে যথার্থ সহযোগিতার মানসে স্মার্ট নাগরিকের বিকল্প নেই।

সে মোতাবেক বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এবং নাগরিক উভয় পক্ষকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে কাজ করবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং সরকার যে উদ্ভাবনী ও বৈচিত্র্যময় পথ অনুসন্ধানে অগ্রসর সে বিষয়েও জনগণ অবহিত। আগামী বিশ্বে বাংলাদেশ বেশ কিছু বিষয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে তার আগাম ধারণা কিন্তু বাংলাদেশ পুরো বিশ্ববাসীকে দিয়ে রেখেছে। সমসাময়িক সময়েও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামে নেতৃত্ব দিচ্ছে, রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। সরকারের এ উদ্যোগকে সাধারণ জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছে এবং এ সংক্রান্তে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে কমিটি।

এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আগামী নির্বাচনে তাদের স্লোগান হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ প্রতিষ্ঠার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সুপারিশ দেবে এই কমিটি।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বলতে স্মার্ট নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকারের সমষ্টিকে বোঝানো হয়ে থাকে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর হবে। এ জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হবে।

এছাড়া ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, আইন ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামো সৃষ্টি এবং সব পর্যায়ে তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ ও দিকনির্দেশনা দেবে এই কমিটি।

স্মার্ট ও সর্বত্র বিরাজমান সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক এবং বৈজ্ঞানিক পরিমণ্ডলে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিধিমালা প্রণয়ন, রপ্তানির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নীতি প্রণয়ন ও সময়াবদ্ধ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে ব্যবস্থা, আর্থিক খাতের ডিজিটাইজেশন বাস্তবায়নের নিমিত্তে গঠিত কমিটি কাজ করবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এ নির্বাহী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন বাণিজ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এটুআই প্রকল্পের পরিচালক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব (সদস্যসচিব)। অবশ্য কমিটি প্রয়োজনে আরও সদস্য নিতে পারবে (কো-অপ্ট)। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। কাজেই কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব থাকায় স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরাও তেমন ফাঁকফোকর খুঁজে পাচ্ছে না।

২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে স্বীকৃতি প্রদান, নগরায়ন ও অঞ্চলভিত্তিক শিল্পজোন তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সরকার যদি দায়িত্বশীল আচরণ করে তখন অর্থনীতি মজবুত হবে এবং ফলশ্রুতিতে দেশ এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ সরকার মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের কর্মকান্ড বাস্তবায়নের সক্ষমতা এবং সদিচ্ছাকে জনগণের সামনে তুলে ধরতে পেরেছে। সে ধারাবাহিকতায় সরকারের বর্তমান গ্রহণীয় উদ্যোগ হচ্ছে, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ’।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সঠিক নীতি প্রণয়ন ও নীতিমালা অনুসরণ করে কার্য সম্পাদন করার মানসিকতা, অর্থ সংকুলান ও সুশাসন জরুরি। প্রযুক্তির বিশ্বে বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিবান্ধব, প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা জরুরি। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও হিউম্যানওয়্যারকে সংযুক্ত করে স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ভিলেজ সর্বোপরি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও হিউম্যানওয়্যারের মধ্যে হিউম্যানওয়্যার অর্থাৎ মানুষকেই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।ডিজিটাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে সারাদেশকে প্রযুক্তির আওতায় আনতে হবে। ডিজিটাল কানেকটিভিটি ছাড়া স্মার্ট সিটি বা স্মার্ট টেকনোলজি কোনোটাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

২০২১ সালে দেশে পরীক্ষামূলক (৫জি) কানেকটিভিটি সেবা চালু হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার জাতীয় অর্থনীতিতে আইসিটি খাতের অবদান ২০ শতাংশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে পরিকল্পনা সাজিয়েছে।
স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য সেবা কৃষি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন (৫জি) কানেকটিভিটি সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য সহজ হবে।

স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে শহরে ও গ্রামে আলাদাভাবে সবার জন্য কানেকটিভিটি অ্যাপ তৈরি করা, যার মাধ্যমে সব নাগরিক সহজে নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদিকে স্মার্ট ভিলেজ বলতে এমন এক গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে বোঝায় যেখানে ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং উন্মুক্ত উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় নাগরিকরা বিশ্ব বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পাবে। অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা অজপাঁড়াগাওয়ে বসবাসকারী মানুষের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। ফলশ্রুতিতে গ্রামের মানুষও সরাসরি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবেন।

এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিভিন্ন সেবা প্রদান ব্যবস্থাকে উন্নত করা, খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের বিকাশ,  সরকারি সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিতে স্মার্ট ভিলেজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অপরদিকে স্মার্ট ভিলেজের অন্যতম উপাদান স্মার্ট এগ্রিকালচার, বাস্তবায়নে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করতে হবে এবং কৃষিভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষিত সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। স্মার্ট এগ্রিকালচারের জন্য ন্যানো টেকনোলজি এবং এআই ব্যবহার করে পরিকল্পনামাফিক পণ্য উৎপাদনে যেতে হবে, যাতে কম খরচে উৎপাদন দ্বিগুণ করা যাবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পর কৃষিজ পণ্য বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে এবং তা করতে হলে স্মার্ট এগ্রিকালচারের বিকল্প নেই।

স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিতের জন্য স্মার্ট পুলিশিং, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট একাডেমিক ওরিয়েন্টেশন, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট হসপিটালিটিজ, স্বাধীন নগর প্রশাসন, জন নিরাপত্তা, কৃষি ইন্টারনেট, স্মার্ট যোগাযোগ, ডিজিটাল কানেকটিভিটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এতদসংক্রান্তে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেয়ার লক্ষ্যে সরকারের গৃহিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরী। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তথা টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে ধরনের সমস্যাগুলোকে মোকাবেলা করতে হয়েছে সে সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত সাপেক্ষে সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার পাশাপাশি উদ্ভাবনীমূলক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা গ্রহণই পারে আগামী ২০৪১ সালের যে ভিশন সেটির ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে। তবে জোরের সঙ্গে বলা যায়, সরকারের প্রতিটি অঙ্গ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্তরিকভাবে ও সততার সঙ্গে কাজ করলে স্মার্ট বাংলাদেশ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করা অসম্ভব হবে না।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও সভাপতি, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।