বান্দরবানে সেনাসদস্য হত্যা: দুই আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৬ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বান্দরবানের রুমায় সেনাসদস্য হত্যা মামলায় দুই আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তারা হলেন- থুইমং প্রু মারমা ও থুইনু মারমা।

মঙ্গলবার বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা এবং খন্দকার দিলারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এসময় হাইকোর্ট বলেন, বান্দরবানের বর্তমান পরিস্থিতিতে এ দুই আসামিকে জামিন দেওয়া ঠিক হবে না।

হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘বেশ কিছুদিন বান্দরবানের পরিস্থিতি ভালো ছিল, হঠাৎ করে এখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর মামলা। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে এমন ঘটনায় জামিন দেবে না হাইকোর্ট।’

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী সেপ্রু অঞ্চলের পাহাড়ে সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর অতর্কিত হামলা করে জনসংহতি সমিতির (মূল) দলের কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এতে সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান নিহত হন।

তখন সেনাবাহিনীর বান্দরবানের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের একটি দল বথিপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে- এমন গোপন তথ্য পাওয়া যায়। এ সংবাদের ভিত্তিতে রাইংক্ষ্যং লেক ক্যাম্পের জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি চালায়।

এসময় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালালে তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। অন্য সাত থেকে আটজন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর আক্রমণে টিকতে না পেরে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে জ্যেষ্ঠ ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সৈনিক ফিরোজ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), ২৭৫টি গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, তিনটি গাদাবন্দুক, গাদাবন্দুকের পাঁচটি গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম ও চাঁদাবাজির ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী স্থানীয় লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দলের সদস্য বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমরান আহম্মদ ভুঁইয়া জানান, গত বছরের ১৪ নভেম্বর এ মামলায় অন্য আরেক আসামি নুমংপ্রু মারমাকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এসএস/ইএস)