মাদারীপুরে ভুয়া বিল নিয়ে রক্ষা হলো না প্রতারক শাহীনের

মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রহণের দুই কোটি টাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় সদর থানায় বুধবার দুপুরে মামলা হয়েছে। মামলায় পুলিশ শাহীন বেপারী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার নথি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ডাউয়ারচর মৌজার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ৬৪১নং দাগের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে একটি প্রতারক চক্র ভূমি অধিগ্রহন শাখা থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা উত্তেলন করে। পরে জমির প্রকৃত মালিক হারুন বেপারী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন।

এতে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের নির্দেশে মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অফিস সহকারী সোহাগ মোল্লা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মফিতুল্লাহ হাওলাদারকান্দি গ্রামের নাজির বেপারীর ছেলে শাহিন বেপারী (৫৬), দত্তপাড়া গ্রামের দুলাল হাওলাদারের ছেলে আলী জামান (৫৫) ও আক্তারুজ্জামান (৪৫) এবং বাঁচামারা গ্রামের নাসির উদ্দিন এবং দত্তপাড়া খা কান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে নজরুল খা (৩৫)কে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শাহিন বেপারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার বাদী সোহাগ মোল্লা মামলা নথিতে দাবি করেন, আসামিরা এক কোটি আটাশি লক্ষ চৌদ্দ হাজার তিনশ টাকা প্রতারণামূলকভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। প্রকৃত পক্ষে আসামিদের ওই দাগে কোন সম্পত্তি নাই। বিভিন্ন প্রকার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি অর্থ ব্রাক ব্যাংকের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত হারুন বেপারী বলেন, আমি আমার মালিকানাধীন জমি বিল তুলতে গেলে বিভিন্ন ধরেন হয়রানির শিকার হই। পরে জানতে পারি- আমার জমির বিল একটি প্রতারক চক্র নিয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন জানান, প্রতারণা করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় একটি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে প্রতারণার সাথে যেই জড়িত থাকুক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/এলএ)