তুমব্রু সীমান্তের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আগুন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত কোনারপাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলির পর আগুনের খবরও পাওয়া গেছে। মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে বুধবার দিনভর গোলাগুলি হয়। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলি সন্ধ্যা ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শূন্যরেখার ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ। এদিকে এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী।
এই সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেলেও আরও হতাহত রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। তারা বলছেন, মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি এখনো চলছে।
এ ঘটনায় হামিদ উল্লাহ (২৭) নামে একজন নিহত হয়েছেন। যিনি ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যায় রোহিঙ্গাদের বসতিতে আগুন দেওয়া হয়, যাতে অন্তত হাজারখানেক বাড়ি-ঘর পুড়ে যায়। এর আগেই প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা পরিবার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অবস্থান নিতেও দেখা গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘বিকাল ৫টার দিকে তুমব্রু শূণ্য রেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুন এখনও জ্বলছে। ওই ক্যাম্পে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের অনেকেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে গেছেন। গোলাগুলির শব্দ আগের চেয়ে বেড়েছে।’
শূন্যরেখার কোনারপাড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডার দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘মিয়ানমারের আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) নামে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সকালে এই গোলাগুলি শুরু হয়।’
এর আগে দুপুরের দিকে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুতুপালং আশ্রয়শিবিরসংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা জানান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, তাঁদের হাসপাতালে আনার পর একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/কেএম)