শিশুদের মিথ্যা বলার স্বভাবে বদল আনার উপায়

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৯

শিশুদের মিথ্যা বলা সাধারণ সমস্যা। শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হয় এবং চার বা পাঁচ বছর বয়সের আগে শিশু সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারে না। তাই কল্পনার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা বলতে পারে কিংবা যেকোনো ঘটনাকে একটু বাড়িয়ে বা অতিরঞ্জিত করে বলতে পারে। প্রথম প্রথম হয়তো খুব হালকাভাবে শিশু মিথ্যা কথা বলা শুরু করে। কিন্তু বাঁধা না পেলে ধীরে ধীরে মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়তে থাকে। এক সময় এটা অভ্যাসে পরিণত হয়।

মনোবিদদের মতে, বকুনি খাওয়ার ভয়ে মিথ্যা বলা দিয়েই এই অভ্যাস বাসা বাঁধে শিশুদের স্বভাবে। কোনও কোনও সময়ে মা-বাবা এই স্বভাবকে অবহেলা করে গেলেও তা পরে বড়সড় আকার ধারণ করে। শুধু তা-ই নয়, কথায় কথায় মিথ্যা বলার এই স্বভাব শিশুর জীবনেও নানা ক্ষতি করে, ছোট থেকেই তা রুখে না দিলে এই অভ্যাস খুব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে।

প্রথম থেকেই শিশুদের মিথ্যা বলার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে হবে। শিশুর মিথ্যা বলার অভ্যাস দূর করতে যা করবেন-

শিশুরা অনেক সময় বড়দের নজর নিজের দিকে টানতে মিথ্যা বলে। কখনও কল্পনার আশ্রয় নিয়ে, আবার কখনও বকুনির ভয়ে মিথ্যা কথা বলে বসে তারা। এই স্বভাবের জন্য অনেক বাবা-মা-ই শিশুদের ব্যাপক বকাবকি করেন। তবে শাসন বা মারধরে না গিয়েও এই স্বভাব রুখে দিতে পারেন আপনি।

প্রথমত, মিথ্যা কথা বলা যে খারাপ এটা শিশুদের বোঝাতে হবে। সত্যটা যে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এটাও বোঝাতে হবে। মিথ্যা বললে তাকে কেউ পছন্দ করে না, তার সঙ্গে খেলে না, তাকে কেউ ভালোবাসে না-এমন একটা ধারণা শিশুদের মনে গেঁথে দিতে হবে। অর্থাৎ শিশুসুলভ আচরণ দিয়েই শিশুকে সত্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

শিশুকে প্রথম থেকেই গল্পের ছলে মনীষীদের জীবনী, ঈশপের গল্প, নীতিকথা শেখান। বড় মানুষরা কেউ মিথ্যা পছন্দ করতেন না অথবা মিথ্যা বিষয়টা খুব একটা গ্রহণীয় নয়— সে ধারণা ছোট থেকেই তাদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন।

শিশুদের সামনে যতটা সম্ভব মিথ্যা এড়িয়ে চলুন। তারা কিন্তু অভিভাবকদের থেকেই সবচেয়ে বেশি শেখে।

শিশুরা কোন বন্ধুর সঙ্গে মিশছে, সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। তার চারপাশের বন্ধুরা কেমন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। তাদের মধ্যে কারও মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে তা যেন আপনার শিশুকে প্রভাবিত করতে না পারে, সে বিষয়টিও নজরে রাখুন।

কোনটা মিথ্যা আর কোনটা কল্পনা, তা আগে নিজেরা বুঝুন। কোনও কোনও কল্পনা শিশু বয়সের জন্যই নির্ধারিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কেটেও যায়। কাজেই ছোটখাটো কল্পনাকে মিথ্যা ভেবে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। শাসনের বাড়াবাড়ি নয়, দরকারে কথা বলুন শিশুর সঙ্গে। কোনও ভাবেই মিথ্যা রুখতে না পারলে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।

মিথ্যা বললেই শিশুকে শাস্তি দেবেন না। বরং তাকে সাবধান করুন, সংশোধন করে দিন। সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিন, আপনার কথা না শুনলে কী কী শাস্তি সে পেতে পারে।

কোনটা মিথ্যা আর কোনটা কল্পনা, তা আগে নিজেরা বুঝুন। কোনও কোনও কল্পনা শিশু বয়সের জন্যই নির্ধারিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কেটেও যায়। কাজেই ছোটখাটো কল্পনাকে মিথ্যা ভেবে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। শাসনের বাড়াবাড়ি নয়, দরকারে কথা বলুন শিশুর সঙ্গে। কোনও ভাবেই মিথ্যা রুখতে না পারলে মনোবিদের সঙ্গে কথা বলুন।

ঢাকাটাইমস/১৯ জানুয়ারি/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :