৩৬৬ বছরের পৌষমেলা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা, ১০ গ্রামের মিলনমেলা
ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় নড়াইলের চাকই-রুখালী এলাকায় ৩৬৬তম ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী মেলাও বসেছে।
বুধবার গভীর রাতে পালাগানের মধ্য দিয়ে এ মেলা শেষ হয়েছে। গান পরিবেশন করেন কুষ্টিয়ার নজরুল ইসলাম বয়াতী ও নাটোরের মায়া রানী সরকারসহ স্থানীয় শিল্পীরা। এ উপলক্ষে চাকই-রুখালীসহ আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষের মিলনমেলার সৃষ্টি হয়। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসেন।
এদিকে ঘোড়ার মালিকসহ সোয়ারিরা জানান, একেকটি ঘোড়া লালন-পালনসহ পরিচর্যা খরচ অনেক হলেও মানুষকে বিনোদন দিতে গ্রামবাংলার এ ঐহিত্য ধরে রেখেছেন তারা। স্বাগতিক নড়াইলসহ যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও কিশোরগঞ্জের ৩৩টি ঘোড়া অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সাতক্ষীরার তালা এলাকার মফিজুল মেম্বারের ঘোড়া, দ্বিতীয় যশোরের অভয়নগর উপজেলার মরিচা গ্রামের নিসার ফকিরের ঘোড়া, তৃতীয় অভয়নগরের হিদিয়া গ্রামের মরিয়ামের ঘোড়া, চতুর্থ কিশোরগঞ্জের সুজন মিয়ার ঘোড়া এবং পঞ্চম অভয়নগরের পুড়াখালী গ্রামের হাজি ওসমানের ঘোড়া। প্রথম বিজয়ীকে ২০ হাজার, দ্বিতীয় ১৫ হাজার, তৃতীয় ১০ হাজার, চতুর্থ সাত হাজার এবং পঞ্চম পুরষ্কার পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অচিন চক্রবর্তী, বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক, মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল করিম, স্থানীয় তবিবার রহমান বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা এম এম সোহেল রানা, লাবলু শেখ, হালিম বিশ্বাসসহ অনেকে।
এ ব্যাপারে বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক বলেন, এলাকার মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও মেলবন্ধন বজায় রাখতে ঘোড়দৌড়সহ দু’দিনব্যাপী পৌষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিহাস-ঐহিত্যের ধারাবাহিকতায় এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে চাই। এ আয়োজনে প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী অনেক সহযোগিতা করেছেন।(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/এসএ)