মানবতাবিরোধী অপরাধে ত্রিশালের মুকুলসহ পলাতক ছয় রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০৬ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মুক্তিযুদ্ধের সময় অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের মো. মোখলেসুর রহমান মুকুলসহ পলাতক ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গতকাল রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবারকে রায়ের দিন (২৩ জানুয়ারি) নির্ধারণ করেন।

আসামিরা হলেন- মোখলেছুর রহমান মুকুল, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির, নাকিব হোসেন, আদিল সরকার ও সাইদুর রহমান রতন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল বলেন, এ মামলায় ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। তখন ৯ আসামির মধ্যে দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। বিচার চলাকালে কারাগারেই তাদের মৃত্যু হয়। আর পলাতক অবস্থায় মারা যান আরেক আসামি। বাকি ছয় আসামির সবাই পলাতক।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাইয়ে ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী। ওই সময় কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন। এ কারণে ইউনুছ আলীকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান ২০-২৫ জন। নির্যাতনের পর ’৭১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওই রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকায় লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করে।

এসব অভিযোগে পরে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ফরমাল চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে ওইদিনই দুপুরে বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এমআই/কেএম)