‘তখন রাজ্জাক ভাই আমাকে এমন শক্ত করে ধরে রাখলেন’

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৫২ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৫৭

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলা চলচ্চিত্রের একজন কিংবদন্তি নায়ক ছিলেন রাজ্জাক। বেঁচে থাকলে আজ ৮২তম জন্মদিন পালন করতেন তিনি। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন নায়করাজ রাজ্জাক। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় তিনি হয়ে ওঠেন এই বাংলার সিনেমাপ্রেমীদের আপনজন। সবার ভালোবাসার ‘নায়করাজ’ হিসেবে খেতাব পান।

নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মদিন উপলক্ষে রোববার (২২ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকে শোবিজ অঙ্গন ও সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে কাটানো স্মৃতি কথা লিখেছেন সহকর্মীরা।

নায়করাজের ৮২তম জন্মদিনের প্রথম প্রহরে তার স্মতিচারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লম্বা পোষ্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী  অঞ্জনা রহমান।

ঢাকাটাইমস পাঠকদের জন্য অঞ্জনা লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘শুভ জন্মদিন, বাংলা চলচ্চিত্রের মহা নায়ক রাজ রাজ্জাক ভাই। সত্যিকার অর্থে অনেক বেশি মিস করি রাজ্জাক ভাইকে। কারণ এই মহান নায়কের সাথে আমি প্রায় ৩৫ টার মতো ছায়াছবিতে জুটি হিসেবে কাজ করেছি। তার মধ্যে অসংখ্য স্মরণীয় ঘটনা আছে।’

‘রাজ্জাক ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম একক নায়িকা হিসেবে কাজ আজিজুর রহমান ভাই পরিচালিত অশিক্ষিত ছায়াছবিতে। ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে গানটার সময় রাজ্জাক ভাই আমাকে এতোটা সহযোগিতা করেছে যা কোনোদিন ভুলবার মতো না।’

‘তারপর শেখ নজরুল ইসলাম ভাই পরিচালিত বিধাতা ছায়াছবির একটি গানের শুটিং করতে কাপ্তাই গেলাম। সেখানে স্পিড বোর্ডে গানের একটি মূহুর্তে আমি পরে যাচ্ছিলাম, তখন রাজ্জাক ভাই এমন শক্ত করে আমাকে ধরে রাখলেন যে গানটি দেখে কেও মনেই করবেনা যে আমি এতোটা ভয় পেয়েছিলাম।’

 

‘তারপর একটি বিশেষ ঘটনা যা মনে হলে এখনো গা শিউরে উঠে আলমগির কুমকুম ভাই পরিচালিত রাজার রাজা ছায়াছবিতে। একটি এ্যাকশন দৃশ্য ছিলো যে আমাকে এবং রাজ্জাক ভাই কে একসাথে বেধে ফেলা হবে তারপর পাহাড় থেকে নিচে ছুড়ে ফেলা! সব ঠিক নিচে যথেষ্ট প্রটেকশন দেওয়া হয়েছিল। যেনো আমরা কোনো ব্যাথা না পাই কিন্তু আমাদের হাতের রশিটা যেমন করে বাধার কথা ছিলো সেটা শক্ত করে বাধা হয়নি! যখন নিচে লাফ দিলাম রশিতো ছুটে গেলো দুইজন দুইদিকে পড়লাম, আমি তো নিচে পরে অজ্ঞান হয়ে গেছি রাজ্জাক ভাই নাকি নিচে পারার পর শুধু বলছে কুমকুমভাই অঞ্জনা কোথায়, পাগলের মতো করছিলো।আমাকে মাথায় পানি দিয়ে সংগে সংগে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। রাজ্জাক ভাই ও পায়ে মারাত্বক আঘাত পেয়েছিলেন তাকেও ভর্তি করা হলো। তিনি নিজে এতো ভয়ানক এক্সিডেন্ট এর পরেও আমার কথাটি চিন্তা করেছিলেন যে আমার কি অবস্থা রাজার রাজা ছবিটি সুপার বাম্পার ব্যাবসা করে। রাজ্জাক ভাই দেখা হলেই এই ঘটনা টা বলতেন।’

‘আমি কোনোদিন আপনার ঋন শোধ করতে পারবোনা রাজ্জাক ভাই। আজকে আমি অঞ্জনা হয়েছি তার অন্যতম অবদান আপনি সারাটি জীবন আমাদের মনের মনিকোঠায় রয়ে যাবেন আপনার সাথে অনবদ্য কাজের হাজারো স্মৃতি আজ বারবার মনে পড়ছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এলএম)