সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে: বিএনপি

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৬ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। দলটি বলছে, হীন উদ্দেশ্য থেকে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি, জীবনমান, মূল্যবোধ বিরোধী ভ্রান্ত, বিকৃত ও অসত্য তথ্যের শিক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ অভিযোগ করেন দলটির শীর্ষ নেতারা। সোমবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এই সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিএনপি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে পুস্তুকগুলো বাতিল করে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস এবং মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে পুস্তুক রচনার দাবি জানানো হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সভায় অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সভায় আলোচনা হয়। সম্ভাব্য প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের মাধ্যমের কর্মসূচি সফল করার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায়, চলমান আন্দোলন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দমন করার জন্য হত্যা, মিথ্যা মামলা প্রদান, গণহারে গ্রেপ্তার, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী ও হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে সকল আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সভায় বলা হয়, উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় কয়লার অভাবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, ডলারের মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৩টি জাহাজের চিনি ও ভোজ্যতেল খালাস করা যাচ্ছে না, ডলার সংকটের প্রভাব এবার হজ্ব যাত্রীদের ওপরেও পড়বে, এলসি গ্রহণে বিদেশী ব্যাংকের অনীহা সামগ্রিকভাবে ডলার সংকট অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, অর্থনীতির সর্বক্ষেত্রে সরকারের লাগামহীন দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারনেই বর্তমানে ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অপ্রয়োজনীয়, অনুৎপাদিত খাতে ডলার ব্যয় এবং অপকৌশলে ডলার বিদেশে পাচার করার ফলেই এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুদুর প্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলাবে বলে বিএনপি মনে করে।

সভায় অর্থনীতির সংকট সৃষ্টির ফলে জন-জীবনে যে অপরিসীম দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে তার জন্য এই অবৈধ সরকারকেই দায়ী করা হয় এবং ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ দাবী করা হয়।

সভায় সদ্য প্রকাশিত স্কুল পাঠ্য পুস্তুকে ইতিহাস ও বিষয়বস্তুর বিকৃতি, ভুলতথ্য ও ভাষাগত ভুলের দোষে দুষ্ট এবং ধর্মীয় মুল্যবোধে আঘাত বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ জানানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/জেবি/ডিএম)