চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, পাঁচ প্রতারক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:১৭

নিজস্ব প্রদিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে সোমবার বিকালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-৪ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সোহেল রানা ওরফে  মিলন, মো. ময়নুল  ইসলাম মিঠু, মো. হাফিজার রহমান, মো. ইব্রাহিম এবং মো. আল আমিন।

গ্রেপ্তারকৃত  মো. সোহেল রানা  ওরফে  মিলন ও মো. হাফিজার রহমানের বাড়ি মাগুরা জেলায়, মো. ময়নুল  ইসলাম মিঠুর বাড়ি  ঝিনাইদহে, মো. ইব্রাহিমের বাড়ি চাঁদপুরে এবং মো. আল আমিনের ঝালকাঠি জেলায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল সোমবার বিকালে মিরপুর এলাকায় একটি অভিযান চালায়। অভিযানে বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামি তাদের অপরাধ অপরাধ স্বীকার করেছে। তারা প্রতারণা করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে, গ্রেপ্তারের সময়ে তাদের কাছে ভুয়া নিয়োগপত্র, ফাঁকা চেকসহ জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়,  পাঁচজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ও নকল কাগজপত্র, ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি ও হেফাজতে রাখে। পরবর্তীতে উচ্চ বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অসহায় বেকার যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে নগদ লাখ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র  দেয়। আর এই প্রতারক চক্রের রয়েছে কিছু পেইড এজেন্ট যারা বেকার ও শিক্ষিত যুবকদের কাছে নিজেরা চাকরি পেয়ে উপকৃত হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করে।

এই প্রতারক চক্র কোনো বাহিনীর সদস্য না হয়েও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদীন ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাহিনীসহ সরকারি-বেসরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ ও নিরীহ লোকজনকে প্রলুব্ধ করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

প্রতারিত লোকজন টাকা দেওয়ার পরও চাকরিতে নিয়োগ না পেয়ে প্রতারকদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা না দিয়ে মারধরসহ বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এই চক্রের মূলহোতা সোহেল শুধু নিয়োগ প্রতারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সে বাহিনীর পোষাক পরে ঊর্ধতন কর্মকর্তা পরিচয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করে বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে কুরুচিপূর্ণ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ভুক্তভোগীদের ব্ল্যাকমেইল করতো। এছাড়া সে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে চারের অধিক বিয়ে করেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এএ/এসএম)