দাফনের দেড় মাস পর কিশোরীর লাশ উত্তোলন
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের পশ্চিম উরিরচর গ্রাম থেকে রাবেয়া বেগম (১৮) নামে এক কিশোরীর লাশ দাফনের এক মাস ২৫ দিন পর পুনঃরায় উত্তোলন করেছে পুলিশ। রাবেয়াকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়েরের পর লাশটি উত্তোলন করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমা ও চরজব্বার থানা পুলিশের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর নিহতের ভাই হাদিছ বাদী হয়ে প্রধান অভিযুক্ত আবদুল মন্নানসহ ৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে একা থাকার সুবাদে প্রতিবেশী আবদুল মন্নান বিভিন্নভাবে রাবেয়াকে উত্ত্যক্ত করত। এরই মধ্যে সে রাবেয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় পরিবারের লোকজনের অজান্তে বিয়ের লোভ দেখিয়ে রাবেয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। শারীরিক সম্পর্কের পর আবদুল মন্নানকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং রাবেয়াকে বিয়ে করার বিষয়ে অনিহা প্রকাশ করে। গত বছরের ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বিকালে আবদুল মান্নানের সহযোগী আবুল কালাম ও ইমাম উদ্দিন বাবর বাড়িতে গিয়ে রাবেয়াকে হুমকি দেয় এবং আবদুল মান্নানকে বিয়ে করার বিষয়টি ভুলে যেতে বলে। এসব বিষয়ে কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দিয়ে আসে। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই রাতে বসতঘরে বিষপানে আত্মহত্যা করে রাবেয়া। আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে সে আত্মহত্যা করেছে অভিযোগ এনে এবং সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশায় নিহতের ভাই নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা করেন।
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এলএ)