এক যুগ পর বাগেরহাটে যুবলীগের সম্মেলন বুধবার, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৭ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫০

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

এক যুগ পর বাগেরহাট জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন বুধবার (২৫ জানুয়ারি) শহরের শেখ হেলাল উদ্দীন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দারুণ উজ্জীবিত। সারা শহর ব্যানার, প্লাকার্ড ও তোরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। সম্মেলনস্থল জাতীয় পতাকার আদোলে সাজানো হয়েছে। 

জেলা যুবলীগের সম্মেলনে কেন্দ্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট নয়জন সিভি জমা দিয়েছেন। সভাপতি পদে একজন আর সাধারণ সম্পাদক পদে আটজন সিভি জমা দিয়েছেন। সভাপতি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় জেলা যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক সরদার নাসির উদ্দীন যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছেন তা প্রায় নিশ্চিত। সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটে হবে নাকি সিলেকশন করা হবে তা কাউন্সিলররা ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা যুবলীগের বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক তালুকদার, আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা শাহনেওয়াজ দোলন, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বর্তমান সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক লিটন সরকার, জেলা যুবলীগের সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস,  পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক সেখ হুমায়ুন কবির পলি, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা রাইসুল আলম কৌশিক এবং সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা সেচ্চাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার আব্দুল কাদের।

২৫ জানুয়ারির সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান অতিথি থাকবেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলসহ নেতৃবৃন্দ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে সর্বশেষ যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে সভাপতি হন খান মুজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সরদার শামীম আহসান। ২০১২ সালে কেন্দ্র এই কমিটি ভেঙে দেয়। এর চার বছর পর ২০১৬ সালে সরদার নাসির উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে ২৪ সদস্যের একটি কমিটি দেয় কেন্দ্র। ওই আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছিল যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল সাংবাদিকদের বলেন, বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট নয়জন প্রার্থী কেন্দ্রে তাদের সিভি জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে থেকে আগামী নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে। এই নেতৃত্ব নির্বাচন কাউন্সিলরদের ভোটে হবে নাকি সিলেকশন হবে তা ঠিক করবে হাউজ। আগামী দিনে বাগেরহাটের আন্দোলন সংগ্রামকে এগিয়ে নিবে তেমন একটি সুসংঠিত কমিটি উপহার দেবে দলের নেতারা।

বাগেরহাট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও বর্তমান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সরদার নাসির উদ্দীন এই প্রতিবেদককে বলেন, কেন্দ্র বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করার পর থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা দারুণ উজ্জীবিত। সম্মেলনকে সফল করতে গত এক মাস ধরে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌর ইউনিটগুলো একাধিক সভা ও মিছিল করেছে। এই সম্মেলনে জেলার লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সম্মেলনে যোগ দেবে। নয় উপজেলা, তিনটি পৌরসভার ২৭৪ জন কাউন্সিলর মনোনীত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে যুবলীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে যুবলীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে আসছি। বাগেরহাট জেলা যুবলীগ সংগঠিত। যুবলীগে কোনো বিভেদ নেই। জেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যে নেতৃত্ব দায়িত্ব পাবে তারা আগামী দিনে দলের আন্দোলন সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে সবাই আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা কাজ করে যাবে বলে মত দেন এই নেতা। গত এক সপ্তাহ ধরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বাগেরহাটের সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই সফল সম্মেলন করতে যা যা করণীয় তা করা হয়েছে বলে জানান এই নেতা।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এআর)