কেরানীগঞ্জে হত্যার ৩০ মাস পর লাশের পরিচয় মিলেছে, আসামি ডালিম গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:০৭

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হত্যার ৩০ মাস পর আজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তির নাম আসলাম ওরফে আসলাম শেখ (৩৫)। হত্যার পর লাশ গুম করতে বস্তায় ভরে তার লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান, র‌্যাব ১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

তিনি জানান, আসামি করিম ওরফে ডালিম (৩৭) গ্রেপ্তারের পর আমাদের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ভিকটিমের নাম আসলাম ওরফে আসলাম শেখ (৩৫) পিতার নাম মৃত নান্নু মিয়া। তার বাড়ি যশোরের চৌগাছা থানার পশ্চিম কারিঘর পাড়া গ্রামের বলে জানা যায়। ভিকটিম আসলাম একজন মাদক ব্যবসায়ী ছিল এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে ডালিমের পরকীয়া ছিল। পরকীয়ার কথা জেনে ফেলার কারণে আসলামকে হত্যা করা হয়।

২০২০ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে নৌ পুলিশ ফাড়ির একটি দল টহল ডিউটিরত বুড়িগঙ্গা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ থানাধীন পোস্তাগোলা ব্রিজের দক্ষিন পাশে বিআইডব্লিউটিএ-এর ভাসমান ডকইয়ার্ড-এর ভাসতে দেখে খবর দেয়। নৗ পুলিশ লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে  নৌ পুলিশবাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে মামলা করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল হত্যার পর লাশ গুম করতে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

র‌্যাব এ সংবাদ পাওয়ার পর থেকে মামলার ক্লুলেস উদ্ধার করতে ছায়া তদন্তে নামে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। শনিবার (২২ জানুয়ারি) র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় রাজধানী ঢাকার পল্টন থানাধীন পল্টন কমিউনিটি সেন্টারের সামনের এলাকায় অভিযান পরিচালনা হত্যা সঙ্গে জড়িত আসামি করিম ওরফে ডালিমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার নিকট হতে ১টি মোটরসাইকেল, ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ হাজার ১৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
 

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এআর)