ফরিদগঞ্জে অবৈধ ইটভাটার কারণে হুমকির মুখে শিশুদের ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবায় অবৈধভাবে অনুমতি বিহীনভাবে চালানো হচ্ছে, মেসার্স মা-রহমত ব্রিক ফিল্ডটি। এ ব্রিকফিল্ডটির কারণে এলাকার কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গ্রামের ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রচুর ফসলি জমি বিনষ্ট ও ট্রাক্টর চলাচলে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। এ ইটভাটার কারণে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া ও পাঠদানে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।

এখানকার উপজেলা প্রশাসন পর পর দুইবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ করে দিয়ে ছিল এ অবৈধ ব্রিকফিল্ডটি। কিন্তু দেখা গেল ব্রিক ফিল্ডের মালিক তার পেশিশক্তি ও প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় ইট ভাটাটি আবারও চালু করে দিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে শত-শত এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মাঝে মারাত্মকভাবে উত্তেজনা ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানাযায়,গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে ইটভাটায় পুনরায় ইট পোড়ানো কাজ করে যাচ্ছে ভাটার মালিক। প্রশাসন জরিমানা আদায় ও তার কাছ থেকে,মুচলেকা দেওয়াসহ পানি দিয়ে দু বার ইট ভাটাটি বিনষ্ট করে বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপর ও ইট ভাটার মালিক কোন খুঁটির জোরে প্রশাসনকে কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে এক প্রকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইট ভাটা চালু করে তার কার্যক্রমটি চালিয়ে যা্েচছ। এনিয়ে এলাকায় বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন দেখা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ক'জন সচেতন ব্যাক্তি জানান, ইট ভাটা উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দেওয়ার পর ও তারা পুনরায় চালু করেলো কিভাবে। ইট ভাটার কারণে পরিবেশের মারাত্বক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরে ও তারা কি ভাবে ভাটা চালু করে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান বলেন, ইট ভাটাটি পর পর দুইবার বন্ধ করার পর ও পুনরায় চালু করেছে বলে শুনতে পেরেছি। এবিষয়ে আমাদের দপ্তর থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ জানান, গ্রামের বহু মানুষ এই ইটভাটা বন্ধ করার জন্য আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও গ্রামের পক্ষে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) আরেক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর ইটভাটা বন্ধ করার জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। ইটভাটার কারণে গ্রামের ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও ট্রাক্টর চলাচলে যে ক্ষতি হচ্ছে তার জন্য সব সময়ের জন্য এটি বন্ধ করা দরকার এবং আমি এই বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করব।

উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্বিতীয় বারের মতো ইট ভাটায় পানি দিয়ে আগুন নিবিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে মা রহমত ব্রিক ফিল্ডে অবৈধভাবে ইট ভাটা পরিচালনার দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ইট ভাটাটি বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশ প্রদান করে ইট ভাটার মালিককে। তার পরও সে পুনরায় তার কার্যক্রম করে যাচেছ।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/এআর)