বেওয়ারিশ কুকুরের প্রজনন নিয়ন্ত্রণের সুফল পাবেন ঢাকাবাসী: মেয়র তাপস

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নেওয়া বন্ধ্যাত্ত্বকরণ কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী অচিরেই পাবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার দুপুরে ওয়ারীর ফকিরচাঁন কমিউনিটি সেন্টারে ‘কুকুর বন্ধ্যাত্ত্বকরণ কর্মসূচির’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ সিটির প্রত্যেকটা অঞ্চলেই বেওয়ারিশ কুকুর বন্ধ্যাত্ত্বকরণ কার্যক্রম শুরু করব। আজকে অঞ্চল ৫ থেকে আমরা শুরু করছি। অঞ্চল ১-৪ এবং পরবর্তীতে আমাদের নতুন অঞ্চলেও এই কার্যক্রম চলবে।’

‘আমরা আশাবাদী এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বেওয়ারিশ কুকুরের বিস্তৃতি রোধ হবে। ধীরে ধীরে সেটা কমে আসবে এবং ঢাকাবাসী অচিরেই বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণের সুফল পাওয়া শুরু করবে।’

বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি এই কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র।

তাপস বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের শহরগুলোতে বেওয়ারিশ কুকুর বা অন্যান্য প্রাণী যত্রতত্র চলাচল করতে পারে না। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাদের নাগরিকরা সেগুলোর পরিচর্যা করেন, নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং সেভাবেই একটি সুন্দর শহর গড়ে ওঠে।’

তবে ঢাকায় এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে নজর না দেওয়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মেয়র তাপস। তিনি তথ্য দেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় পঞ্চাশ হাজারের ঊর্ধ্বে বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে।

এর জন্য একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সেজন্য সারা বিশ্বের ন্যায় বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে আমরা বন্ধ্যাত্ত্বকরণ কার্যক্রম শুরু করছি।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দীর্ঘদিন ধরে কোনও পশু চিকিৎসক ছিল না। প্রায় ২০ বছর পর আমরা পাঁচজন পশু চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে সংস্কার করছি।’

এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র জানান, চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের আগেই নতুন করে ফকিরচাঁন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের কাজ শুরু হবে।

এর আগে মেয়র আরামবাগ হাই স্কুল ও কলেজ এবং গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, প্রথম দিনে মোট ১০টি কুকুরকে বন্ধ্যাত্ত্বকরণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন ১০টি করে কুকুর বন্ধ্যাত্ত্বকরণ করা হবে।

বন্ধ্যাকৃত কুকুরগুলোকে চিহ্নিত করার সুবিধার্থে সেগুলোর কান ফুটো এবং ঘাড়ে নীল (স্থায়ী রং) স্প্রে করে দেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/কেআর/ডিএম)