সরস্বতী পূজামণ্ডপে ‘উন্নয়নের বাংলাদেশ’

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৫২ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০৯

হান্নান খাদেম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

সংসদ ভবন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, পারমাণবিক কেন্দ্র, আশ্রয়ণ প্রকল্প, মডেল মসজিদ। বাংলাদেশের উল্লেখ্যযোগ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্থাপনা একই স্থানে। শিল্পীর নিখুঁত কারুকাজ আর রং-তুলির আঁচরে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে এক একটি শিল্পকর্ম। যেন ছোট্ট পরিসরে এক টুকরো স্বপ্নের বাংলাদেশ। দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। কোনটি রেখে কোনটির দিকে তাকাই। তবে এটি সরকারের কোন প্রদর্শনী নয় স্বরসতী পূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ব্যতিক্রম এ পূর্জামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।

স্থানীয় অরুণ সংঘ পৌর শহরের রাধানগরে একটি বিদ্যালয় চত্বরে ভিন্ন থিমের পূজামণ্ডপ সাজিয়েছে। নাম দিয়েছে ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি জনগণের সামনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরা এবং জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোয়  তাদের উদ্দেশ্য। 

বৃহস্পতিবার স্বরস্বতী পূজা। দুই দিনব্যপী পূজা অনুষ্ঠানে থাকছে ধর্মীয় আলোচনা, ব্রাহ্মণ সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সরজমিনে বুধবার দুপুরে রাধানগরে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের গেটে পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১০০ ফুট লম্বা পদ্মা সেতুর নমুনা। সম্পূর্ণ ককশিট দিয়ে সেতুর অবিকল নকশা নির্মাণ করা হয়েছে। শ্রমিকরা শেষ মুহূতের্র সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত। বিদ্যালয়ের ভেতরে একপাশে মেট্রোরেল, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের আদলে কয়েকটি ঘর। বঙ্গবন্ধু টানেল, রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র। এক পাশে সংসদ ভবন। সংসদ ভবনেই হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পূজামণ্ডপ হলেও এখানেও শোভা পাচ্ছে মডেল মসজিদের একটি নমুনা। শিল্পীরা ককশিট, রং আর অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে প্রতিটি নকশা ফুটিয়ে তুলছেন নিখুঁতভাবে।

জানা যায়, প্রায় ৪০ বছর আগে অরুণ সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত স্বরসতী পূজার আয়োজন করে সংগঠনটি। প্রথম দিকে ছোট পরিসরে পূজার আয়োজন করা হলেও ৬-৭ বছর ধরে থিম পূজার আয়োজন করা হয়। একেক বছর একেকটি ভিন্ন থিম প্রদর্শন করা হয়। গত বছর পূজার পাঠাগার থিমটি ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়ায়।

কথা হয় পূজামণ্ডপের কারিগর শিল্পী শাহাদাত হোসেনের সাথে। তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম। ছোট বেলা থেকেই ড্রইং পেইন্টিংয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল। তিনি নিজে নিজেই এসব শিখেছেন।

তিনি বলেন, গত ১ মাস ধরে ২ জন শ্রমিক নিয়ে নকশা তৈরিতে কাজ করছেন। তবে এক সপ্তাহ ধরে ৭ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন।

অরুণ সংঘের সভাপতি সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু বলেন, পূজার ধর্মীয় রীতি স্বাভাবিক রেখে মানুষের সামনে ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করাই আমাদের এ থিম পূজার আয়োজন। এখানে আমরা দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/এলএ)