চিজ, চকোলেট, মাখন শরীরের জন্য উপকারী!

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩১ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০৫

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেকে খাদ্য তালিকা থেকে দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য বাতিল করে দেন। কিন্তু এই খাদ্যবস্তুগুলোর একাধিক উপযোগিতাও রয়েছে, যা অস্বীকার করা যায় না। চিজ, চকোলেট, মাখনের মতো খাবারও পরিমিত পরিমাণ খাওয়া যায় এবং উপকারীও বটে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তিরা নিয়মিত দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য খেয়ে থাকেন, তাদের ওজন ও রক্তচাপ কম থাকে, এমনকী স্ট্রোক ও অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনাও কম হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, কোনও খাবারকেই খারাপ বা ভালর মানদণ্ডে মাপা ঠিক নয়। চিজ, চকোলেট, মাখনের মতো খাবারও পরিমিত পরিমাণ খাওয়া যায় এবং উপকারীও বটে।

 

চিজ

প্রোটিন এবং ক্যালশিয়ামে ভরপুর চিজ হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করে। তবে এতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই বেশি তাই উপকারী ভেবে প্রতিটি খাবারে চিজ ছড়িয়ে কিন্তু দেওয়া যাবে না। পুষ্টিবিদদের মতে, ভাল মানের পরিমিত পরিমাণ চিজ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে যারা প্রতিদিন চিজ খেয়ে থাকেন, তাদের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ সমপরিমাণে মাখন খেয়ে থাকা ব্যক্তিদের তুলনায় কম হয়।

 

পিনাট বাটার

আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস পিনাট বাটার বা চিনাবাদামের মাখন। এরই গুণে রক্তে অক্সিজেনের সঞ্চালন বাড়ে, যার থেকেই শক্তসবল হয় হাড়। শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। বাড়-বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, মস্তিষ্ক ও শরীরে স্নায়ু কোষের কাজর্কম সচল-স্বাভাবিক রাখে। সাধারণ মাখনের মতো বাদাম দিয়ে তৈরি মাখনের মধ্যে বাইরে থেকে লবণ, চিনি বা উদ্ভিজ্জ তেল থাকে না। ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর তথ্য বলছে, মাখনে থাকা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্‌রোগে আত্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

 

মাখন

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভিটামিন এ এবং ক্যালশিয়ামে ভরপুর মাখন ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। পাশাপাশি, ভিটামিন ই চোখের জন্যও উপকারী। মাখনে অ্যাক্টিভেটর এক্স নামক যৌগ থাকে যা দেহকে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদান শোষণে সাহায্য করে।  আমাদের শরীর খনিজ উপাদান গ্রহণ করে তখন তা ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। মাখনে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, লেসিথিন এবং লরিক এসিডের মত কার্যকরী খনিজ উপাদান থাকে। মাখনে লিনোলেইক এসিড নামক যৌগ থাকে। এটি শরীরের বিপাকের উপর প্রভাব বিস্তার করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও মাখনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

 

ডার্ক চকোলেট

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ডার্ক চকোলেট মন-মেজাজ চাঙ্গা করে দিতে পারে। শরীরে কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে মন থাকে ফুরফুরে। ডার্ক চকলেট খেলে ধমনিতে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। যার ফলে মস্তিষ্ক ধমনিকে বিশ্রাম নেওয়ার বার্তা পাঠায়। তাই রক্ত চলাচল আরও সহজে হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে কোকোয়া থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। টানা ৮ সপ্তাহ যদি নিয়মিত ডার্ক টকলেট খাওয়া যায়, তাহলে একদিকে যেমন রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি রক্তচাপও স্বাভাবিক হয়ে যায়।

ঢাকাটাইমস/২৬ জানুয়ারি/আরজেড)