বৈরাগ্য
প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৪৪

শত শতাব্দীর প্রণয়ের প্রাসাদ
গুঁড়িয়ে দিয়ে উতল হাওয়ায় ধূলিস্যাৎ করে
পেয়েছো কতটুকু স্বস্তির নিঃশ্বাস?
সভ্যতার দুয়ারে আমি কি সত্যিই বেমানান?
নব্য চাঁদ আলেয়ার আলো বিলায়;
জন সমাগমে গা ভাসাও চিরায়ত নিয়মে।
আর আমি যেন উদোম অবলীলায়!
লজ্জা ভূষণ, শোষণ করে কেমন প্রশান্তি পাও?
যদি পারো, পূর্ণিমার আলোয় নিজেকে পরিস্কার দেখে নিও।
অপরাধ যার অপরাধী শুধু সে-ই হয় না!
জাগতিক নিয়মে আমার যন্ত্রণার নাম, অনুশোচনা।
আমি অপরাধী!
আমার রাজত্বে আঁধারে ঢেকে গেছে;
রাজপ্রাসাদে ঝুলছে মাটির পিদিমের নিভুনিভু প্রদীপ।
আমি উড়নচণ্ডী, বেসামাল; শহর ছেড়ে স্বপ্ন বেড়ায় বৈরাগ্যের পথে।
জীবনের বিতৃষ্ণার ব্যবচ্ছেদে শিক্ষিতের সমাজ ছেড়ে আমি নেমেছি মূর্খের দলে;
বাঘ শাবকের সাথে হবো বুনো।
মানব শাবকের পৃথিবীতে চরম অস্বস্তিতে ভূগতে থাকা আমি এক অসহায় প্রাণ।
আমাকে কেউ ক্ষমা করো।
বৈরাগ্যে বিবেক বলতে কিছু না; থাকে না সমাজ-সংসার।
ঘুচে যাক সমস্ত পৃথিবীর আলো, ইচ্ছে করে আমিই থামিয়ে দেই।
জীবন মায়ায় বেঁচে আছি না থাকার মতো।
আলো আঁধারের খেলায় বিশ্বাসঘাতকতা নিতান্তই অকল্পনীয়।
সমস্ত আস্থা ভেস্তে গেছে; আর ফিরবো না তোমাদের পৃথিবীতে।
ভালো থেকো ফুল-পাখি সকল।