চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা: বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন মেয়ে

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:০১ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলার আসামি তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের মেয়ে অজিহা আলিম রিদ।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয় সে।

বিচারক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে আংশিক জেরা করেন। এরপর আদালত ৭ ফেব্রুয়ারি অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার সরদার বলেন, ‘ভিকটিমের মেয়ে অজিহা আলিম রিদ সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি আদালতকে বলেছেন, ঘটনার দিন গত বছরের ১৫ জানুয়ারি তিনি অন্য রুমে ঘুমোচ্ছিলেন। দুপুর ২টার পর জানতে পারেন তার মা নিখোঁজ।’

সাক্ষ্যে অজিহা আলিম রিদ বলেছেন, তার বাবার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক ভালো ছিল না। তার বাবা প্রায়ই মারধর করতেন তার মাকে। ঘটনার দুই দিন পর বাবা সাখাওয়াত আলী জেলখানা থেকে রিদকে ফোন করে বলেন, ‘মা আমি ভুল করেছি। আমাকে মাফ করে দিও।’
 
মেয়ের জবানবন্দি দেওয়ার সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শুনছিলেন বাবা সাখাওয়াত আলী নোবেল। অপর আসামি এস এম ফরহাদও কাঠগড়ায় ছিলেন।
শুনানিকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সুমনও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মামলাটিতে বাদী নিহতের ভাই হারুন অর রশীদ সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়ভাবে সংবাদ পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গজ উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোঁপের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মৃতদেহের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

তদন্তকালে জানা যায়, মৃতদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল ৭-৮টার মধ্যে খুন হন শিমু। শিমুকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত ২৯ আগস্ট কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দুই জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/জেডআর/এফএ)